• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন

অষ্টগ্রামে মিথ্যা মামলা ও ভুয়া সংবাদ সম্মেলন দাবী করে করা হয়েছে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনঃ

প্রতিনিধির নাম :
Update Time : সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

 

 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

 

বিএনপি নেতা কর্তৃক জোড়পূর্বক জলমহাল দখল, মিথ্যা মামলা ও সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোস্তাক আহম্মেদ কমল নামে কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম উপজেলার এক সাবেক জনপ্রতিনিধি। সোমবার (৭ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি হোটেলে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

 

তিনি জানান, উপজেলার চর দেওঘর জলমহালটি ইজারা পাওয়ার নিমিত্তে ভাটীনগর মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি রামচরণ দাস আমাকে আর্থিক সহযোগীতা ও অংশিদারিত্ব গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করলে সমিতির সাথে নির্ধারিত শর্তের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যথানিয়মে বিডি জমা থেকে শুরু করে আনুষংগিক ব্যয় বাবদ ৭৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৪১ টাকা প্রদান করি এবং ২০২০ সালে জলমহালটি ওই সমিতির অনুকূলে ৬ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হই। কিন্ত পূর্ব মামলা থাকায় আদালত ইজারা আদেশটি স্থপিত করে দেয়। পরবর্তীতে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহার করে এবং ২৫% বর্ধিত হারে ইজারার শেষ ১ বছর অর্থাৎ ১৪৩১বঙ্গাব্দের ৩১ চৈত্র পর্যন্ত বহাল করেন।

 

গত ২৮ জুলাই ভাটীনগর মৎসজীবি সমিতির বর্তমান সভাপতি, সাবেক সভাপতি রামচরণের স্ত্রী অনিতা রানী ও অপরাপর অংশীদারদের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জলমহালটি আমাকে বুঝিয়ে দেয়। সমিতির সভাপতি অনিতা রানীসহ সকল অংশীজনদের মাঝে ও আমার ১৩আনা অংশীদারিত্বে একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয় এবং আমি জলমহালটি সংরক্ষণ করি।

 

কিন্তু ৫ই আগষ্টের পর অনিতা রানী আমার সাথে হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হেলাল খানের সাথে আতাত করে আমাকে জলমহাল থেকে উচ্ছেদ করে জলমহালটি জবরদখল করে নেয়। এমনকি আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। তাছাড়া হেলাল খানের প্ররোচনায় অনিতা রানী ও রামচরণ ইতি পূর্বে আমার কাছে থেকে গ্রহণ করা টাকা ও চুক্তিনামাসহ প্রমাণাদি জোরপূর্বক পূর্বক গ্রহণ করেছি মর্মে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বানোয়াট তথ্য প্রদান করে কিশোরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন।

 

 

সমাধানের জন্য অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারী, অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন অফিস প্রধানদের উপস্থিতিতে ইউএনও মহোদয়ের কার্যালয়ে মীমাংসার ব্যবস্থা করি। সেখানে আমার ১৩ আনা অংশীদারিত্বের সকল তথ্য প্রমাণ প্রদর্শন করি। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনিতা ও রামচরণ আমার সাথে সমঝোতার মাধ্যমে জলমহালটি পরিচালনা করবে মর্মে অঙ্গীকার করলেও ঐ দিন বিকালেই হেলাল খান তার দলবলসহ অষ্টগ্রাম বাজারে এসে আমাকে প্রাণনাশের হুমকী দেয় এবং অষ্টগ্রাম থানায় বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও আমাকেসহ ৯জনের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাক আহমেদ কমল ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা, প্রতারক অনিতা দম্পতি ও জড়িতদের বিচার এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবী করেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ