• বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠির নলছিটির বাটপার শাওন কেরানীগঞ্জ থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার।

মোঃ মোল্লা শাওন ঝালকাঠি।।
Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

মোঃ মোল্লা শাওন ঝালকাঠি।।

কারাবন্ধী সাবেক মন্ত্রী ঝালকাঠি ২ আসনের সাংসদ আমির হোসেন আমুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম শাওন ওরফে পিএস শাওনকে ঢাকার একটি বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে রাজধানীর শুভাঢ্যা এলাকার একটি বাসা থেকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আটক করেছে।গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিল শাওন। জনশ্রুতি আছে ৫ আগষ্ট বিকেলে আমুর ইস্কাটনের বাসা থেকে প্রায় অর্ধকোটি নগদ টাকা, ডলার ও স্বর্ণালংঙ্কার নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল শাওন।আটককৃত শাওন খান নলছিটি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড সুর্যপাশা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মো.ফিরোজ আলম।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১১ সালের শেষের দিকে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের এক নেতার মাধ্যমে আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকুরিতে যোগ দিয়েছিলেন শাওন। মুলত আমির হোসেন আমুরর বিশেষ সহকারী ফখরুল মজিদ কিরণ কম্পিউটার ব্যবহার করতে জানতেন না বিধায় তার কাজে সহযোগীতা করতেই শাওনকে আমুর বাসায় কম্পিউটার অপারেটিংয়ের কাজে রাখা হয়।এরপর আর তাকে পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। আমুর অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গে শাওনই ছিল সেকেন্ড ইন কমান্ড। কমিশন, ভোট ডাকাতি, টেন্ডার বানিজ্য, টিআর কাবিখা, নলকুপ বরাদ্ধ, বদলী ও জেলা পর্যায়ের চাকুরিতে তার সিগনাল ছাড়া কিছুই হত না। পিএস শাওন ঝালকাঠির আওয়ামীগের নেতাকর্মীদের কাছে শাওন খান নামে পরিচিত। এই ছেলের ক্ষমতার প্রভাবে নলছিটি পৌরসভা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিল তার বাবা। নলছিটি পৌরসভার দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটে তিনিই সর্বাধিনায়ক।ছোট ভাই মুকুল খানকে চাকুরি দিয়েছেন চট্রগ্রাম বন্দরে। নলছিটি ঝালকাঠি এবং ঢাকায় কিনেছেন একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাট। নিজে চলাচলের জনৌ ব্যবহার করতেন একাধিক গাড়ি। থানা ও প্রশাসন সবই ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এত কিছু সম্ভব হয়েছে শুধু আমুর নিজস্ব স্টাফ হিসেবে চাকুরিতে থাকায়।এদিকে ঢাকায় শাওন খান আটকের খবরে ঝালকাঠির মানুষ সন্তষ্টি প্রকাশ করে এবং দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবি করেছেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ