• সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরে ডিবি পরিচয়ে ৯৮ লাখ টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৪

গাজীপুর প্রতিনিধি।।
Update Time : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫

গাজীপুর প্রতিনিধি।।

গাজীপুরে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৯৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। লুটের পুরো টাকা দুর্বৃত্তরা ১০ ভাগে নিয়ে যায়। শুক্রবার পিবিআইয়ের গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গত ১৪ এপ্রিল মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার আউটপাড়া রিয়াজ টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত মাল্টিপয়েন্ট বিডিতে এ ঘটনা ঘটে। সেদিনই মাল্টিপয়েন্ট বিডির ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ এনামুল হক বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদের পরিবেশক।মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিন-চারজন ব্যক্তি ঢুকে পড়ে। তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মীদের মারধর শুরু করে। পরে প্রতিষ্ঠানের ভল্ট থেকে ৯৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।মামলার পর পুলিশের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে পিবিআই। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সংস্থাটি ২৩ এপ্রিল ঢাকার ফকিরাপুল কাঁচাবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুর রহমান রাজনকে। সে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানাধীন গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।পিবিআই জানায়, গাজীপুরের বাসন থানার সরকার বাড়ি মোড়ের প্রিয়াংকা ভিলায় ভাড়ায় থাকত রাজন। গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার লুটের টাকা থেকে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তার সহযোগী রবিউল ইসলামকে।পিবিআইয়ের গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদালতে পাঠানো হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর ভিত্তিতে বুধবার রাতে ভোলার দুলারহাট থানার শিকদারের চর কিল্লার মাঠ এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত দুই ভাই উজ্জ্বল হোসেন ও মিরাজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।পিবিআই জানায়, রাজনের সঙ্গে দুই মাস আগে পরিচয় হয় রবিউলের। দু’জন রিয়াজ টাওয়ারের ওই প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। এতে যুক্ত করা হয় মিরাজ ও উজ্জ্বলকে। এক পর্যায়ে উজ্জ্বলকে ডিবি কর্মকর্তা সাজিয়ে ১৪ এপ্রিল ওই প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে ছয় যুবক। বাইরে পাহারায় ছিল আরও চারজন। ভেতরে যাওয়া যুবকরা জিম্মি করে ফেলে সব কর্মকর্তাকে। পরে তাদের মারধর করে ভল্ট থেকে ৯৮ লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর ওই টাকা ১০ ভাগ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় অন্যান্য আসামীদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান আছে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ