• সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠির প্রতারণার আরেক নাম নুপুর জুয়েলার্স জেলার সাধারণ মানুষের কোটি টাকার স্বর্ণ নিয়ে ভবন মালিকের গোবিন্দর সহযোগিতায় পালিয়েছে নুপুর জুয়েলার্সের প্রোপাইটার প্রতারক বিশু ও তার ভাই সুমন।

তথ্য অনুসন্ধানে মোঃ মোল্লা শাওন ঝালকাঠি।।
Update Time : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

তথ্য অনুসন্ধানে মোঃ মোল্লা শাওন ঝালকাঠি।।

ঝালকাঠি পোস্ট অফিস রোডের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গজেন্দ্র ধর,বিশু ধর ও সুমন ধরের প্রতারণার প্রতিষ্ঠান নুপুর জুয়েলার্স। নুপুর জুয়েলার্সের নামে ঝালকাঠি জেলা থেকে গত কয়েক বছরে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।সর্বস্ব হারিয়ে প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিরা ঝালকাঠি স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি,ঝালকাঠি ভোক্তা অধিদপ্তর, ঝালকাঠি সদর থানা সহ হাজারো অভিযোগ দিয়েছেন এমন তথ্য মিডিয়াপাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কেহই নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।বেপরোয়া বিশু ও তার ভাই সুমন ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের, স্বর্ণ বন্ধক রেখে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা এমন অভিযোগ করেন হাজারো ভুক্তভোগী।ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মোড় আশা জুয়েলার্সের মালিক মোহাম্মদ জাকির হোসেন দৈনিক যায়যায় বেলা সহ একাধিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আমার পরিচিত ব্যক্তিরা স্বর্ণ বন্ধক রাখার জন্য আমার কাছে আসেআমার পার্শ্ববর্তী নুপুর জুয়েলার্স এর মালিক বিশুধর ও সুমন ধর স্বর্ণ-বন্দ কি ব্যবসা করেন এইজন্য আমার মাধ্যমে অন্তত দশ ভরি স্বর্ণ বন্ধক রাখি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিয়ে স্বর্ণ চাহিলে প্রতারক বিশুধর ও সুমনধর আমাকে জানায় টাকা দিয়ে যান তিনদিন পরে স্বর্ণ এনে দিব আমি সরল বিশ্বাসে যেহেতু পার্শ্ববর্তী দোকান মালিক এজন্য টাকা পরিশোধ করে দেই কিন্তু দীর্ঘদিন তালবাহানা করে দিচ্ছি করে ঘুরিয়ে আসছে সর্বশেষ গত কয়েক মাস আগে আমাকে জানায় বাড়ি বিক্রি করে আপনার স্বর্ণ ছাড়িয়ে দিব আমি অনেক টাকা ঋণ হয়েছি একটু অপেক্ষা করুন।কিন্তু অবশেষে প্রতারক দোকান বন্ধ করে পালিয়েছে।আমি উক্ত বিষয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছি এবং থানায়ও লিখিত অভিযোগ দিব। অন্যদিকে একাধিক ভুক্তভোগী নুপুর জুয়েলার্স এর প্রোপাইটার সুমন ধর ও বিশু ধরের কাছ থেকে একই রকম প্রতারিত হয়েছে দিনের পর দিন মাসের পরে মাস অপেক্ষা করেও তাদের স্বর্ণ ফেরত দেয়নি প্রতারক চক্র প্রত্যেক ভুক্তভোগীর হাতে প্রতারক বিশু ও সুমনের দেয়া প্রমাণ হিসাবে রিসিভ রয়েছে।নুপুর জুয়েলাস থেকে প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগ মোঃ বেলায়েত হাওলাদার, মোঃ রুবেল বেপারী, মোঃ আলামিন , মোঃ রুহুল আমিন , রেবা বেগম, সহ অসংখ্য ভুক্তভোগী, জানিয়েছেন প্রতারক বিশু ও সুমন পালিয়ে যাওয়ার কিছুদিন আগে আস্বাস দিয়েছিল বাড়ি বিক্রি করে সকলের দেনা পাওনা শোধ করিবে কিন্তু বাড়ি বিক্রি করেছে কামার পট্টির মোদী ব্যবসায়ী মনোজ নামের এক ব্যক্তির কাছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় মনোজ নামের মোদী ব্যবসায়ী নামমাত্র কিছু টাকা দিয়ে সুমনধর ও বিশু ধরেরবাড়িতে দখল নিয়েছে বসে আছে। বিষয়টি ঝালকাঠি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন রাত পোহালেই দেখা যায় স্বর্ণকার পট্টি প্রতারক বিশু ও সুমনের দেয়া রিসিভ হাতে নিয়ে অসহায় হয়ে ঘুরছে সাধারণ মানুষ।উক্ত প্রতারণার বিষয় ঝালকাঠি স্বর্ণকার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও অসাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হাওলাদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নুপুর জুয়েলাসের প্রফাইটার সুমনধর ও বিশু ধরের একাধিক প্রতারণার অভিযোগ মৌখিক ও লিখিতভাবে আমাদের কাছে দেয়া আছে। আমরা শুনেছি নুপুর জুয়েলাস বন্ধ করে মালিক পক্ষ পালিয়েছে প্রতারিত হওয়া নারী-পুরুষ সম্মিলিত হয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে আমরা চেষ্টা করব প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিদের সহযোগিতা করার। উক্ত বিষয়ে থানা পুলিশ, এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের উপমহলে অবগত করেছি।স্থানীয় একাধিক সচেতন মহল জানিয়েছেন প্রতারক চক্র বিশু ধর ও সুমনধর পিতা বজেন্দ্র ধর পালিয়ে যাওয়ার আগে ,যদি কেহ প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিদের পক্ষ নিয়ে জানার জন্য নুপুর জুয়েলাসে যেত তখন প্রতারক বিশু ও সুমনের পক্ষ নিয়ে ভবন মালিক গোবিন্দ বিভিন্ন ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসতো স্থানীয়দের দাবি ভবন মালিক গোবিন্দ ও প্রতারক বিশু ,সুমন ও তার পিতা বজন্দ্রধর, এবং দোকান মালিক গোবিন্দ, মুদি ব্যবসায়ী মনসকে আইনের আওতায় আনলে অসহায় মানুষের শেষ সম্বল উদ্ধার করা সম্ভব হবে ।উক্ত অভিযোগের বিষয় ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানকে মুঠোফোনে সাংবাদিকরা অবগত করিলে তিনি জানিয়েছেন নুপুর জুয়েলাসের প্রতারণার শিকার একাধিক ভুক্তভোগী থানায় এসেছিল কেহ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কেহ দেয়নি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বিশু, ও তার ভাই সুমন,পালিয়ে যাওয়ার পরে, অনেকে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ