• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকদের মোর্চা গঠন, ক্লিন ইমেজের ছাত্রদল নেতাকে বিতর্কিত করতে কৌশলে অপপ্রচার।

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।
Update Time : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।।

বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের তুমুল জনপ্রিয় নেতৃত্ব তারিকুল ইসলাম তরিকের বিরুদ্ধে খোড়া একটি অভিযোগে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সহযোগী কজন অপসাংবাদিক। বোনের পারিবারিক বিরোধকে পুঁজি করে এই ছাত্রদল নেতাকে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রশাসনিক মহলে বিতর্কিত করতে বেশ কয়েকদিন ধরে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিকপন্থী ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা মনগড়া তথ্য-উপাত্ত্ব একাধিক সাংবাদিকের মুঠোফোনে সরবরাহ করেছে।শহরের ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা পার্শ্ববর্তী ১১ নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা সড়কের দুই ইতালি প্রবাসী ভাইয়ের দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারী তরিককে ৫ আগস্টের পূর্বেও একাধিকবার হয়রানি করে। এমনকি তৎসময়ে সাজানো একটি ঘটনায় তরিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়েও দৌড়ের ওপর রেখেছিল। কিন্তু ছাত্রদল নেতা সত্যের সঙ্গে সঙ্গ দেওয়ায় তাকে আর পেছন থেকে টেনে ধরা সম্ভব হয়নি।তবে এরপরেও থেমে নেই সেই আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকের অপসাংবাদিকতা, সে এবার ইতালি প্রবাসী দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বকে পুঁজি করে ছাত্রদল নেতা তরিককে বিপদে ফেলতে বা শায়েস্তা করতে নয়া কৌশল অবলম্বন করেছে। বাড়ি দখলের ভুলভাল তথ্য উপস্থাপন করে তা পত্রিকায় প্রকাশ করতে আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকদের নিয়ে একটি মোর্চাও ইতিমধ্যে গঠন করেছে বলে শোনা গেছে।তাদের মধ্যকার একজন নামপ্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সাদিক আব্দুল্লাহ’র খাস চামচা ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মনগড়া সংবাদ তৈরি করে তা একাধিক সংবাদকর্মীকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং হোটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। বিষয়টির নেপথ্যে রহস্য লুকায়িত রয়েছে, তা অনুমান করতে পেরে ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকে বিমুখ করেছেন একাধিক সাংবাদিক। কিন্তু এরপরেও সে তরিককে বিতর্কিত করতে বিভিন্ন মাধ্যমে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছে।শোনা গেছে, ছাত্রদল নেতাকে সাইজ করার হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কজন অপসাংবাদিককে নিয়ে একটি মোর্চাও গঠন করেছে, যারা আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে সর্বদা তৎপর রয়েছে, যা নিয়ে ছাত্রদলসহ শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতারা সংক্ষুব্ধ।বিএনপি নেতাদের দাবি, বিদগ্ধ তরিক ছাত্রদলের একজন ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব, এই সাহসী নেতৃত্বকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দলবাজ সাংবাদিকেরা চেপে ধরেছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়া সংবাদপ্রকাশসহ তাকে মামলায় হয়রানিও করে। কিন্তু তরিক সেই হলুদ সাংবাদিকদের কাছে মাথা নত করেননি, বরং প্রতিবাদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন।অভিযোগ, ৫ আগস্টের আগে তরিকের আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে তাকে মস্তবড় সন্ত্রাসী উল্লেখ করে হয়রানির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিধিবাম। সরকার পরিবর্তন হলেও আওয়ামীপন্থীদের সকল অপপ্রচার থমকে যায়। এরপরে দীর্ঘদিন এই গ্রুপটি নিশ্চুপ থাকলেও এখন বোনের পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতাকে বিতর্কিত করে তার পদ খাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়, হচ্ছে।অথচ তরিক জানিয়েছেন, বোনের পারিবারিক বিষয়ে তার কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তাকে অযথা বিতর্কে জড়ানো হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে কজন সাংবাদিক পরিচয়ে তাকে ফোন করে সংবাদপ্রকাশ করাসহ পদ খেয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে, যা তিনি হাইকমান্ডকে অবহিত করে রেখেছেন। পাশাপাশি কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত।ছাত্রদল নেতা তরিক জানান, শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসাগলির বাসিন্দা ইতালিপ্রবাসী দুই ভাই জসিম এবং নিজাম তার আপন খালাতো ভাই। এবং এরমধ্যে জসিম সম্পর্কে তার বোনের জামাতা। জসিম এক সময়ে ছাত্রদল এবং বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। বছরদশেক পূর্বে তিনি ইতালি চলে গেলে তার আপন ভাই নিজাম আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় যৌথ মালিকানাধীন বাসাটি একার দখলে নিয়ে নেয়।এই বাসা দখলকে কেন্দ্র করে নিজাম বছরতিনেক আগে সেখানে এক ধরনের ত্রাস চালিয়েছিলেন, আর তাকে শেল্টার দিচ্ছিল আওয়ামী লীগ নেতা সাদিকের চ্যালাচামন্ডা কজন অপসাংবাদিক।অভিযোগ আছে, ছাত্রদল নেতার বোন যে দিন সন্তান জন্ম দিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, সেদিনই আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় নিজাম বাসাটি দখল দেয়। তৎসময়ে ছাত্রদল নেতার বোন থানা পুলিশ এবং প্রশাসনের একাধিক দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।জানা গেছে, কিছুদিন পূর্বে ইতালিপ্রবাসী জসিম বরিশালে আসেন এবং যৌথ মালিকানাধীন ওই বাসাটিতে তার স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন। এরপরেই মূলত শুরু হয় ছাত্রদল নেতা তরিককে নিয়ে সেই হলুদ সাংবাদিকদের অপপ্রচার।আওয়ামীপন্থী অপসাংবাদিকেরা লেখালেখি করছে, ছাত্রদল নেতা তরিকের নেতৃত্বে না কী বাড়ি দখল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধ্রুব সত্য হচ্ছে তরিকের এখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাছাড়া বাড়ি দখলের মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি, পুলিশও তাই বলছে।তাহলে এরপরেও কেনো শত্রুতা উদ্ধারে ছাত্রদল নেতা তরিককে জড়িয়ে ভুলভাল তথ্য উপস্থাপন করছে আওয়ামী লীগের দোসরেরা।ছাত্রদল নেতা তরিক জানান, বাড়ি দখল নিয়ে যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। এই ভিত্তিহীন অপপ্রচার রুখে দিতে মামলারও প্রস্তুতি নিয়েছেন।কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বাড়ি দখলের কোনো খবর নেই। তবে শুনেছেন ইতালিপ্রবাসী দুই ভাইয়ের মধ্যে বাড়ি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই বিষয়ে তাদের পারিবারিকভাবে সমঝোতা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’


এ বিভাগের আরও সংবাদ