মোঃ জামাল হোসেন খান বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।

বরগুনার বেতাগীতে পরিপন্থী গঠনের প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বেতাগী প্রেসক্লাবে আয়াজিত সংবাদ সম্মেলেন লিখিত বক্তব্য পেশ করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর কবির। এ সময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মো: আতিকুর রহমান, সুলতান আহমদ, মো: আশ্রাফুল ইসলাম লিটন যুগ্ন সম্পাদক নাজনীন ইসলাম জেলি, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ও সাহিত্য সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ও সদস্য জালাল আহমদ। লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নিয়ে একটি ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কারা আসল কারা নকল তা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন হুমকি ধামকির কারনে শিক্ষকরা সংগঠন নিয়ে দিধান্বিত হয়ে পড়েছে। আমরা আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমিতি নিয়া ধুম্রজালের অবসান ঘটাতে চাই।তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬-১১-২০২৪ তারিখ বেতাগীতে একই শিক্ষক সমিতির ৫৫ সদস্য এডহক কমিটি গঠিত হয়। যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং- ১৮০৬/৭৫ (১৯৬২-৬৩)। কিন্তু বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সংশোধিত সংস্করন ২০২১ এর যে গঠনতন্ত্র আছে তাতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রেজিঃ নং- ১৮০৮/৭৫(১৯৬২-৬৩)। প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যে নতুন গঠনতন্ত্র আছে তাতে উপজেলার এডহক কমিটি হবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট এবং ১ জন আহবায়ক ও ২ জন যুগ্ম আহবায়ক থাকবে। কিন্তু রাসেল সাবরিন ও মোস্তারি আক্তার এ্যানির কমিটি ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট এবং ২৭ জন যুগ্ম আহবায়ক নিয়ে একটি অবৈধ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গঠন করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী। যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং- ১৮০৬/৭৫ (১৯৬২-৬৩) ভূয়া অবৈধ কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। এই ভূয়া কমিটি আমরা মানি না এদেরকে দিয়ে কোন কাজ করা হলে সাধারন শিক্ষক সমাজ তা মানবেনা।মো: জাহাঙ্গীর কবির আরও বলেন, বিগত ০৪/১২/২০২৪ ইং তারিখ কেন্দ্রীয় কমিটির আনোয়ারুল ইসলাম তোতা ও আবদুল ওয়াদুদ ভুইয়া এই গঠনতন্ত্র মোতাবেক নিয়ম কানুন মেনে বেতাগী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আমাদের কমিটি অনুমোদন করেছেন। যে কমিটির রেজিষ্ট্রেশন নং- ১৮০৮/৭৫(১৯৬২-৬৩)। সাধারণ শিক্ষকদেরকে নিয়ে গঠিত আমাদের কমিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বৈধ কমিটি। এটির রেজিঃ নম্বর সঠিক এবং গঠনতন্ত্রের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর আছে এটিরও সেই একই রেজিষ্টেশন নম্বর আছে। অবৈধ গঠনতন্ত্র বিরোধী কমিটির কোন কার্যক্রম আজ থেকে আর মেনে নেয়া হবে না। ভূয়া নিবন্ধনধারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম গ্রহণযোগ্য হবে না। তাদেরকে সাধারণ শিক্ষক সমাজ মানবে না। তাদের সকল কার্যক্রম অন্যায় যেও অবৈধ। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই যে, আজ থেকে গঠনতন্ত্র বিরোধী ভূয়া ও অবৈধ কমিটির কার্যক্রম সাধারন শিক্ষকগণ মেনে নিবেন না।