মোঃ মোল্লা শাওন ঝালকাঠি।
আজ ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ ভরে উঠেছিল শ্রদ্ধা, স্মৃতি আর আবেগের এক গভীর পরিবেশে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করে অনুষ্ঠিত হলো এক অনন্য স্মরণসভা। জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে দেশের গর্বিত তরুণ প্রজন্ম এবং সাধারণ জনগণের আত্মত্যাগের মহিমাকে স্মরণে রেখে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝালকাঠির সম্মানিত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আশরাফুর রহমান। সভাটি শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে। এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। জেলা প্রশাসক তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “ছাত্র ও জনতার এই আন্দোলন শুধু একটি আন্দোলন নয়, এটি একটি নতুন যুগের সূচনা। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পথকে আলোকিত করেছে। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা চিরকাল অটুট থাকবে।স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলার গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের পরিবার ও আহত যোদ্ধাগণ এছাড়া বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-ছাত্রী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরে ছাত্রদের সাহসিকতা ও প্রত্যয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একজন বক্তা তার বক্তব্যে বলেন, “যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন এই শহীদেরা আমাদের প্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে। তাদের ত্যাগের কথা ভুলে গেলে আমরা আমাদের অস্তিত্বকেই ভুলে যাব।সভার শেষে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সেই সময়ের সংগ্রামী দিনগুলোর স্মৃতি যেন আবার জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। এই ধরনের উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করবে এবং দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ বাড়াবে বলে সবাই আশাবাদী। তরুণদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “আপনারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। দেশের কল্যাণে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং ঐতিহ্য রক্ষায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।এই স্মরণ সভা শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি বার্তা—জাতির প্রতিটি সংকটে আমরা এক এবং অবিচল।