• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

বিএমএসএফ’র নাম লোগো ব্যবহারে ৭জনের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা 

মোঃ জামাল হোসেন খান বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।। 
Update Time : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

মোঃ জামাল হোসেন খান বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।।ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফের নাম,পদবী, ঠিকানা ও লোগো ব্যবহারে ৭জনের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এরা হলেন সংগঠনের বহিস্কৃত সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাইলট, সাবেক সহ-সভাপতি সাঈদুর রহমান রিমন, সদস্য সোহাগ আরেফিন, এনামুল কবির সোহেল, শারমিন সুলতানা মিতু, রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু ও জুয়েল খন্দকার। ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: হেলাল উদ্দিন সম্প্রতি এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশে ১-৭ নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনের ২০০০ (২০০৫ সালের সংশোধিত) এর ৭৬ ধারার অধীনে দায়েরকৃত দেওয়ানী মোকদ্দমাটি বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে ডিক্রী প্রদান করা হয়।বিগত ৬ মার্চ ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বাদী হয়ে ঢাকার বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে ১৩/২০২২ নং এ মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলার বাদী তার অভিযোগে দাবি করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি, দক্ষতা অর্জন, পেশাগত মানোন্নয়ন, ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং সাংবাদিকদের কল্যানমূখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সংগঠনটি সরকারের ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত একটি সাংবাদিক সংগঠন যার নম্বর ০৬/২০২২ এবং কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত নম্বর CRA-25844 যা ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে নিবন্ধিত।  মামলার বিবাদীরা সংগঠনের তৎকালীন প্রধান কার্যালয় ১১ পুরানা পল্টন, ঢাকা এর ঠিকানায় হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত এবং লাঞ্ছিত করে। এদের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ, প্রতারণা, নৈতিক চরিত্র স্খলন, মাদক সহ নানা অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ততা এবং চরিত্রহননের নোংরামি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ২৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১-৭ নং বিবাদীকে সংগঠনের সকল পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।এরপরও বিবাদীরা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নাম, পদবী, লোগো এবং মতিঝিলে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে খাগড়াছড়ির রামগড়ে গঠনতন্ত্র পাঠদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এছাড়া সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক ও বানোয়াট, ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন।মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।


এ বিভাগের আরও সংবাদ