রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৩৭ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।রৌমারীর বড়াইবাড়ি সীমান্তে ঘটনার প্রতিবাদে বিজিবির বাধা, উত্তেজনা চরমে, ছোড়া হয়েছে ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড।স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাত চারটার দিকে রৌমারীর বড়াইবাড়ি সীমান্তের ১০৬৭ নম্বর পিলারের নিকটবর্তী নোম্যান্স ল্যান্ডে বিএসএফ ১৪ জন নারী-পুরুষকে পুশইন করার চেষ্টা করে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিজিবি সদস্যরা বাধা দিলে দুই বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও বিএসএফ সাড়া দেয়নি।প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, পুশইনকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী রয়েছেন। তারা সবাই ভারতের আসাম রাজ্যের নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে তারা সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান করছেন।এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম, ময়জুদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা কয়েকজনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছিল। বিজিবি তাতে বাধা দিলে বিএসএফ সকাল ৬টার দিকে অন্তত চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এছাড়াও, বড়াইবাড়ি সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার ঘটনাও ঘটে।জামালপুর ব্যাটালিয়নের ৩৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুটেন্ট) শামসুল হক বলেন, “বিএসএফ অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা করলে বিজিবি বাধা দেয়। পুশইনকৃত ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা নোম্যান্স ল্যান্ডে রয়েছে। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত হয়েছেন।”এদিকে কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক জানান, “আমাদের সেক্টরে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরও ২৩-২৪ জনকে পুশইনের চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং বিস্তারিত পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।”উল্লেখ্য, সীমান্ত এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিজিবি সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় সীমান্তে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।