বাবুল রানা মধুপুর( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বহুল আলোচিত ৫ম শ্রেণির ছাত্রী লিজাকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর তাকে নির্মম ভাবে হত্যার ঘটনার ৭বছর পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণকারীদের আজও কোনো বিচার না হওয়ায় মধুপুর ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৫ মে টাঙ্গাইলের মধুপুরে গাছাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির মেধোবী শিক্ষার্থী লিজা আক্তার ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার ৭ম বার্ষিকীতে ধর্ষক ও হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।রোববার (২৫ মে) বেলা ১১ টায় মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বরে মধুপুরের সর্বস্তরের ছাত্র জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।কর্মসূচিতে লিজার হতভাগ্য বাবা মিজানুর রহমান ও মা রাহিমা বেগম এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন । তারা বলেন, গত ৭ বছরে এই মামলা নিয়ে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিভাগে দৌড় ঝাঁপ করে কোন ফায়দা হয়নি। সুনির্দিষ্ট নাম দিয়েও মামলায় দোষীদের আসামী করা যায়নি। অদৃশ্য কারণে দোষীরা ছাড় পেয়ে গেছে। দোষীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের পরিবারকে ভীতসন্ত্রস্ত রাখে। মুক্তভাবে চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। অথচ এখনও পুলিশ দোষীদের চিহ্নিত করতে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। উল্টো এই মামলার নামে নিরপরাধ অনেককে হেনেস্তা করছে পুলিশ। তারা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা আর টাকার প্রভাবে আসল দোষী ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তাদের দাবি- মামলাটি পুন বিবেচনায় এনে নতুন করে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ জুলাই আন্দোলনের বৈষম্য বিরোধী নেতা সবুজ মিয়া, মাজহারুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মৃদুল, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রাব্বি, উৎসব সিংগ,সদস্য সৌরভ, যুবদল নেতা ফারুক, জুলাই আন্দোলনে আহত রাকিব, নিবির আকন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৫ মে রমজান মাসে রোজরত অবস্থায় গাছাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী লিজা আক্তার গোসল করতে গিয়ে ধর্ষিত ও খুন হয়। বিকেলে বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে কলা পাতায় মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে লিজার বাবা বাদী হয়ে মামলা করলেও গত ৭ বছরে তদন্ত ঘুরে ফিরে শুধু হাতবদলই হয়েছে কিন্তু কোন অগ্রগতি হয়নি।