• রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন

গৌরনদীর ডাঃ রায়হান হত্যা মামলার আসামীর বিচারের দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনে অভিযোগ।

গৌরনদী প্রতিনিধি।।
Update Time : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

গৌরনদী প্রতিনিধি।

রাজধানীর মালিবাগে এইচ এম রায়হান আহাদ -২৪ নামের এক মেডিকেল শিক্ষার্থীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে মেরে ফেলার ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় অজুহাতে ঢাকার বিজ্ঞ এম এম আদালতে একই রুমে বসাবাসরত মাহাবুব রেজা -২৯, শাহ মোঃ রাকিন বারী -২৫ ও বাড়ির দারোয়ান শাহ আলমকে আসামী করে মামলা দায়েরের করেন মেডিকেল ছাত্র রায়হান আহাদের পিতা নওশাদ হোসেন। যার সি আর মামলা নং- ৬৫৮/ ২০২৪ ইং। ধারা ৪৪৭/৩৭৯/৪০৬/৩০২/৩৪ দঃবিঃমামলা দায়েরের ১ বছর অতিবাহিত হলেও এ যাবত সময় পুলিশ বিভিন্ন অজুহাতে আসামীদের গ্রেফতার না করার কারনে অবশেষে ন্যায় বিচারের দাবিতে জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির কেন্দ্রীয় পরিচালক মোহাম্মদপুর ঢাকার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন মেডিকেল শিক্ষার্থী রায়হানের বাবা মোঃ নওশাদ হোসেন।রায়হান আহাদ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের নওশাদ হোসেনের পুত্র।মেডিকেল ছাত্রের বাবা নওশাদ বলেন, তার পুত্রকে ডাক্তারি পরানোর উদ্দেশ্য চিনের জিংজো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯ ইং সালে ভর্তি করানো হয়। ২০২০ ইং করনার মহামারীর কারনে দেশে ফিরে আসেন তার পুত্র রায়হান আহাদ। অনলাইনে ক্লাশ করে ৫ম বর্ষে উত্তির্ন হন তিনি। অতপরে ঢাকার হাতিরঝিল থানার মালিবাগের ৪৭৯ নং ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১ নং ভবনের আদীল হাইটস ফ্লাট নং – , ৮/ বি ৮ ম তলায় তার রুম মেইট বগুরা জেলার শেরপুর থানার জগন্নাথ পড়া গ্রামের রহমত উল্লাহ সরকারের পুত্র মাহাবুব রেজা ও একই থানার সকাল বাজার গ্রামের শাহু মোঃ নুরুজ্জামান বারীর পুত্র রাকিনকে নিয়ে ভারা বাসায় থাকতেন তিনি।রাকিন বায়িং হাউজে চাকুরি করতেন ও মাহাবুব রেজা ডাক্তার পরিচয়ে একই বাসায় থাকাকালীন অবস্থায় তাদের সাথে রায়হানের সু- সম্পর্ক হয়। তারি ধারাবাহিকতা রায়হান আহাদকে অষ্ট্রলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় লেখাপরার উদ্দেশ্য পাঠানোর কথা বলে প্রতারনার মাধ্যমে ভুল বুঝিয়ে রায়হানের পিতা নওশাদ হোসেনের নিজেস্ব সোনালি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে মাহাবুব রেজার নিজ একাউন্টে ১৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন মাহাবুব রেজা ও প্রতারক রাকিন বারী।রায়হানকে বিদেশ নেওয়ার নামে নানান তালবাহানায় সময় ক্ষেপন করায় রায়হান টাকা ফেরত চাইলে রায়হানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে নানান কৌশল অবলম্বন করে ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টায় শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করেন মাহাবুব রেজা ও রাকিন বারী এমন অভিযোগ করেন রায়হানের পিতা নওশাদ হোসেন।তিনি (নওশাদ) আরো বলেন, নিজদের দোষ এড়াতে নাটকিয়তায় মাধ্যমে বাসার ব্যাবহৃত সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ি বেঁধে রেখে হত্যাকে ভিন্ন খাতে প্রভাভিত করতে আত্ম হত্য বলে চালিয়ে দিতে মেডিকেল ছাত্র রায়হানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান রাকিন ও মাহাবুব রেজা।রায়হানের হত্যাকে নিশ্চিত করে পরিবারের ব্যাবহৃত মোবাইলে বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে ফোন দিয়ে জানান রায়হান আত্ম হত্যা করেছেন কেউবা বলেন রায়হান রোড এক্সিডেন করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।এ খবরে রায়হানের পিতা নওশাদ হোসেন ও পরিবারের লোকজন বরিশাল থেকে ছুটে যান ঢাকা এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পুত্র রায়হানকে মৃত দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পরে অবশেষে হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়েরের জন্য যোগাযোগ করেন তারা।কিন্তুু মাহাবুব রেজা ও রাকিন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের আত্বিয় স্বজন হওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে নানান অজুহাত দেখান।কোন উপায়ন্তর না পেয়ে অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করেও পুত্র রায়হান হত্যার বিচার না পেয়ে অবশেষে মানবাধিকার সংস্থায় পুত্র হত্যার বিচারের দাবিতে দারস্থ হয়েছেন রায়হানের পিতা নওশাদ হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন।রায়হানের অসহায় পিতা নওশাদ আরো বলেন, তার পুত্রকে হত্যা করেই খুনিরা খান্ত হয় নাই, আমার পুত্র রায়হানের ব্যাবহৃত ল্যাপটপ, দামী মোবাইল ফোন সহ বাসার ব্যাবহৃত ৮/১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে খুনিরা। এ ব্যাপারেও ভিন্ন ভাবে হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন রায়হানের পিতা নওশাদ হোসেন যার জি আর মামলা নং – ২৬/ তাং- ২৮-০৯-২০২৪ ইং।


এ বিভাগের আরও সংবাদ