মোঃ ফয়সাল হোসেন, ব্যুরো প্রধান রাজশাহী।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিসের চারঘাট উপজেলা বামন দিঘী গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে অফিস সহায়ক জিয়াউর রহমান (৩৫), এর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে মোহনপুর গ্রামের চান মিয়া ছেলে ইমন , ধামিন পাকুড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী বকুল বেগম, সইপাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন স্ত্রী খালেদা বেগম, ভাতুড়িয়া গ্রামের নাজমুল হক ছেলে মোশারফ হোসাইন নিকট হতে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহীর বিভাগীয় উপ-পরিচালক এ.টিএম গোলাম মাহবুর নির্দেশে যার স্বারক নং-৩৪.০১.৮১০০.০০০.২৭.২৩৭.২২.২৯৭ তারিখ- ১৬ এপ্রিল/ ২৫ খ্রিষ্টাব্দ সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান এই তদন্ত করবেন। অভিযুক্ত অফিস সহায়ক জিয়াউর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ সত্য নয়। উপ-পরিচালক এ.টিএম গোলাম মাহবুর জানান, অভিযোগের কপি তিনিও পেয়েছেন। তদন্ত করা হচ্ছে তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, অফিস সহায়ক জিয়াউর রহমান ওই দফতরের একচ্ছত্র ক্ষমতাধারী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। ইমন আলীকে কাষ্টম অফিস মোংলা বন্দরে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী দেওয়া কথা বলে দুই লক্ষ টাকা, বকুল বেগম পাকুড়িয়া যুব উন্নয়ন সংস্থা নিবন্ধন বাবদ ২৩ হাজার টাকা, খালেদা বেগম ৫২ হাজার টাকা ,মোশারফ হোসাইন নিকট হতে কাষ্টম অফিস মোংলা বন্দরে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা ও উত্তরা ব্যাংকের ফাকা চেকের পাতা গ্রহন করে জিয়াউর রহমান গ্রহন করেন। সমিতির সভাপতিদের নিকট বিভিন্ন অডিটের,ঋনের দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন। এভাবেই ওই অফিস সহায়ক কাছে জিম্মি হয়ে আছেন। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অফিস সহায়ক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি,যুব সংগঠন নিবন্ধন নামে বিধি বর্হিভ’তভাবে অর্থ আদায়, চাকুরী প্রদানে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ আদায় সহ বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করা হবে। তদন্ত শেষে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে রির্পোট প্রেরণ করা হবে।