মোঃ ফয়সাল হোসেন, ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী:
রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলায় ২ নং কিসমত গণকৈড় ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান ওরফে ফুজি ও একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলমের বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের কবরস্থান দখলের অভিযোগ উঠেছে। সম্পর্কে আতাউর রহমান ও শাহীন আলম বাপ ছেলে। জানা যায়, পুঠিয়া দূর্গাপুর আসনের সাংসদ ডা. মনসুরের ছত্রছায়ায় বাপ ছেলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বিপুল পরিমাণে অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন। হয়েছে গাড়ি, বাড়ি, স্টুডিও'র মালিক। করেছেন ভূমিহীনদের কবরস্থান দখল। মিথ্যা মামলা ব্যানিজ্যসহ বিএনপি-জামায়াত দমনে ছিলেন তৎপর। মিথ্যা মামলা,প্রদান করে অর্থের বিনিময়ে সেই মামলাও তুলে নিতেন তারা। অভিযোগ আছে, তাদের নিজের গাড়িতে আগুন দিয়ে মামলা করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও তার ছেলে সহ অনেকের বিরুদ্ধে । পরে আবার সেই মামলা টাকার বিনিময়ে তুলে নেন, সেই মামলা নিষ্পত্তির বিনিময়ে ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত জমি প্রথমে দখল করেন, পরে অবৈধভাবে লিখে নেয়। তার পালক পুত্র শাহিন আলম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। শাহীনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে মাদক সেবনের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাদের পিতা পুত্রের বিরুদ্ধে দূর্গাপুর থানায় নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি থানায় অভিযোগ করে বাদি বিভিন্ন ভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।এখনও তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার সহ পতিত স্বৈরাচার সরকারের পক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিনিয়ত শাহীন মাদক সেবন করে এলাকায় প্রকাশেই ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন তাদের আটক করছেন না বলে অভিমত এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালিয়েও কিভাবে এখনো তারা প্রকাশেই ঘুরে বেড়ায় তা আমাদের বোধগম্য নয়। পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা নিয়েও তুলেন প্রশ্ন। তাহেরপুর বাজারের স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, তাহেরপুর মুরগাদাহ সাঁকো সংলগ্ন গোপালপাড়া মোজার ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত খাস জমি কবরস্থান দখলও করেছেন বাপ ছেলে। দখল করে সেখানে বিশাল বাড়ি তৈরি করছেন তারা। অভিযোগের বিষয়ে কথা বললে ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান ওরফে ফুজিকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কিন্তু তার ছেলে শাহীন আলম ফোন রিসিভ করলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দুরুল হুদাকে ফোন দিলে তাঁর অনুপস্থিতিতে এস আই ইব্রাহিম ফোন ধরেন। তিনি এসব বিষয়ে জেনে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেয়।