মোঃ ফয়সাল হোসেন,ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী:
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে টানা পনের দিন ধরে অনশন করছেন হাবিবা বেওয়া (৪২) নামে দুই সন্তানের জননী ৷ এ ঘটনার জেরে ওই এলাকায় ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। তবে ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছেন প্রেমিক দেবর হাফিজুর রহমান।গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ ) সকাল থেকে রায়ঘাটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মকিনপুর হাটরা গ্রামের প্রেমিক এর বাড়ীতে বাড়িতে অনশনে রয়েছেন ওই জননী। প্রেমিক হাফিজুর রহমান মৃত ছলিমুদ্দিনের ছেলে। অনশনে থাকা হাবিবা বেওয়া হাটরা সোনার পাড়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস আলীর স্ত্রী।জানা গেছে, হাফিজ ও হাবিবা দুজনই প্রতিবেশী এবং সর্ম্পকে দেবর ও ভাবী । সেই সুবাধে তাদের মধ্যে গত ৬ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিভিন্ন সময়ে ঘুরতে গিয়ে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। বিষয়টি এতদিন গোপন রাখলেও গত ২৭ মার্চ হাফিজুর মোবাইল হাবিবা হাফিজকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে হাফিজ বিয়ে করতে অস্কৃতি জানালে তার বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন হাবিবা । এ সময় হাবিবাকে হাফিজ ও তার মা মিলে মারপিট করতে থাকলে একপর্য়ায়ে গ্রাম বাসী এগিয়ে আসলে তারা বাড়ী হতে পালিয়ে যায়। হাবিবা বলেন, “ হাফিজুর সাথে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সে আমাকে আমার নিজ বাড়ী এবং তার বাড়ীতে বিয়ের অজুহাতে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে৷ সর্বশেষ হাফিজের নিজ কক্ষে নিয়েও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফের আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। বিষয়টি এতোদিন আমি গোপন রেখেছি,সে আমাকে বিয়ে করবে বলে।তিনি আরও বলেন, কিন্তু গত ২৫ মার্চ থেকে হাফিজ আমার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। আমি লোকমুখে শুনেছি হাফিজ অন্যত্র বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে। যার কারনে আমি আমার পবিত্র ভালোবাসা রক্ষার্থে এবং আমাদের শারীরিক সম্পর্ককে কলঙ্কমুক্ত করতে হাফিজের বাড়িতে এসে গত পনেরদিন ধরে অনশন করছি।আমি তার বাড়িতে এসেছি আমাকে মারপিট করে সে পালিয়ে গেছে।হাবিবা বলেন, হাফিজুরের এর আগে ২ জন স্ত্রী ছিল সব জেনে আমি তাকে ভালোবেসেসি। সে যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্নহত্যা করব। এবং আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি তার বাড়ি থেকে যাব না।এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক হাফিজুরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে , সে বলে আমি নাবিল গ্রুপে মাকেটিং চাকুরী করতাম কিছুদিন আগে চাকুরী ছেড়ে বর্তমানে গরু খামারে ব্যবসা করি তাই আমার টাকা পয়সা নষ্ট করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, বিয়ের দাবিতে পনেরদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের বিষয়টি গ্রাম মাধ্যমে জানানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ৷