দৈনিক যায় যায় বেলা ,মোঃ ফয়সাল হোসেন ,ব্যুরো প্রধান রাজশাহী :
রাজশাহীর মোহনপুরে নিখোঁজের সাত দিন পর বক্সকালভার্টের নিচের ডোবা থেকে এক কৃষকের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।রোববার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সইপাড়ার তুলশিক্ষেত্র সড়কের কালভার্টের দক্ষিণপাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তার আগে, গত ৯ মার্চ আলতাফ হোসেন।নিহত আলতাফ হোসেন (৫২) উপজেলার ধুরইল মন্ডলপাড়ার মৃত কুদ্দুস আলী শাহের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে তুলশিক্ষেত এলাকার কালভার্টের পাশের ডোবায় পড়ে ছিল আলতাফের মরদেহ। এরপর স্থানীয়রা মরদেহ দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মরদেহের শরীরের পোশাক দেখে পরিবার আলতাফের মরদেহ শনাক্ত করে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়,উপজেলার ধুরাইল বিলে বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষের ডিপ টিউবওয়েল হতে ধানে জমিতে পানি নিতে যায়। ধানের জমিতে পানি নিতে গিয়ে আলতাফ হোসেন আর বাড়িতে ফিরে না আসায় তার পরিবারের লোকজন জমিতে গিয়ে দেখে সেখানে আলতাফ হোসেন নেই এবং ধানের জমির পাশে মানুষের মাথার মগজ (সাদৃশ্য বস্তু) পড়ে আছে। তখন আলতাফ হোসেনের পরিবারের লোকজন কান্নাকাটি শুরু করলে আশপাশের লোকজনও এগিয়ে আসেন এবং মাথার মগজ (সাদৃশ্য বস্তু) দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং মগজ সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে। পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। আলতাফ হোসেন গত ৯ মার্চ নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয় নিয়ে প্রথমে আলতাফের পরিবার মোহনপুর থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। পরবর্তীতে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ তুলে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে পরিবার।রোববার (১৬ই মার্চ) উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের অন্তর্গত তুলসী ক্ষেত্র নামকস্থানে ব্রিজের পাশে সরকারি জলাশয়ের ভেতর থেকে অর্ধগলিত মাথার মগজ বিহীন ভাঁসমান নিখোঁজ আলতাব হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি শনাক্ত করেছে-ভিকটিমের ছেলে আতাউর রহমান, মেয়ে অনন্যা ও ভাই আব্দুল মতিন , ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন সহ আরো অনেকে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।