তথ্য অনুসন্ধানে মোঃ মোল্লা শাওন ঝালকাঠি।
ঝালকাঠি শহরে ইফতারির শেষ মুহূর্তে বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণ করে ডাক্তারপট্টি এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে স্বর্নের দোকানে ডাকাতির চেষ্টা চালায় এ সময় ডাকাতির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতা এনামুল হক সাজুর বাড়ির সামনে বোমা ফাটিয়ে বাড়িতে গুলি চালায় । পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। ডাকাতের ছোরা বোমায় পুলিশ, পথচারী শিশু,সহ ৭জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ঝালকাঠি ডাক্তারপট্টি এলাকার মাহামুদুল হাসান আদিল (৩৭) , প্রণব কুমার নাথ ভানু (৬০), মানিক মালো (৩৫)। অজ্ঞাত ও এক শিশু। ঝালকাঠি জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা। এরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। রবিবার শহরের ডাক্তারপট্টি সড়ক এলাকায় এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক যায়যায় বেলাকে জানিয়েছেন, ইফতারের সময় ডাক্তারপট্টি এলাকায় একটি নীল রঙের পিকআপ গাড়িতে এসে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতির চালায়। দোকান মালিকরা ডাক চিৎকার দিলে জনতা ডাকাত দলকে ধাওয়া দেয়। এ সময় ডাকাত দল পিকআপ থেকে বোমা নিক্ষেপ করে জনতাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তারা বোমা ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে ও বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়। ডাক্তারপট্টি সড়কটি শহরে স্বর্নকার পট্টি হিসেবে পরিচিত। ধারনা করা হচ্ছে স্বর্নের দোকান ডাকাতি করাই ডাকাত দলের উদ্দেশ্য ছিলো।প্রত্যক্ষদর্শী রিপন ভুইয়া বলেন, আমরা বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি এ সময় একটি নীল রঙের পিকআপ জনতার ধাওয়া খেয়ে পিকআপে থাকা সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়ির সামনে এসে গুলি চালায় এবং ভোমানিক্ষেপ করেন এ সময় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি আমরা রাস্তা ছেড়ে সরে দাঁড়ালে পিকআপটি শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়। ঘটনার পরপরই ডাক্তারপট্টির সকল স্বর্নের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আইন শৃংখলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্যরা অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কথিত সরকারের মদদে দুবৃত্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আমাদের নেতাকর্মীর বাড়িতে গুলি চালায় সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য আমরা সর্বক্ষণ সাধারণ মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।ঝালকাঠি জেলার সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু ভূইয়া, সহ একাধিক ছাত্র নেতারা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলী, সহ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বোমা হামলা ও গুলি চালিয়েছে বলে তারা ধারণা করেন।অন্যদিকে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল দিয়েছে এবং তারা জানিয়েছেন, ঝালকাঠির সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও যুবলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী চিহ্নিত অস্ত্র ব্যবসায়ী হাদিসুর রহমান মুরগি মিলন একাধিকবার অস্ত্র সহ রাজধানীর ঢাকা ও ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন জেলায় গ্রেপ্তার হয়েছে আমাদের ধারণা ডাকাতির পরিকল্পনা ও বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।এদিকে ঝালকাঠি জেলার সচেতন মহলের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা উল্লেখিত বিষয় পুলিশের ব্যর্থতা মনে করছেন ঝালকাঠি শহরে, জেলা পুলিশ লাইনের সামনে, সহ অসংখ্য জায়গায় গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি সাধারণ পিকআপ নিয়ে কিভাবে ডাকাত চক্র পালিয়ে যায়।স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি অতি দ্রুত সিসি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় ও ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান দৈনিক যায়যায় বেলা সহ একাধিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইফতারের পর পর কিছু দুর্বৃত্ত ককটেল জাতীয় কিছু ফাটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। পরে তারা জনতার ধাওয়া খেয়ে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায়। সময় জেলা পুলিশের সদস্য ও পথচারীসহ মোট ৭জন আহত হয়েছে তাদেরকে প্রথমে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদেরকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলমান আছে।