• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

বোনের বাড়িতে বেড়াইতে গিয়ে কুলাঙ্গার তালইর ধর্ষণের শিকার শিশু এখন মৃত্যুর যন্ত্রণায় লাইফ সাপোর্টে   

তথ্য অনুসন্ধানে যশোর থেকে ওসমান গনি।
Update Time : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

তথ্য অনুসন্ধানে যশোর থেকে ওসমান গনি

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা মা সহ স্বজনরা।শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ওই শিশুকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিশুটির মামা ইউসুফ শেখ। তিনি বলেন, রাত ৯টার দিকে চিকিৎসকরা ডেকে নিয়ে বলেন শিশুটির অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হবে রাজি থাকলে একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলে। পরে আমরা রাজি হই।এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই শিশুটিকে। বুধবার রাত ২টার দিকে মাগুরা সদর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে শিশুটি নির্যাতনের শিকার হয়।শিশুটির ফুফাতো ভাই সুজন বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছে এখনো জ্ঞান নেই শিশুটির।তিনি আরও জানান, শিশুটির বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার জারিয়া গ্রামে। বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা সদর নিজনান্দুয়ালি গ্রামে। গত শনিবার বড় বোনের বাসায় বেড়াতে যায় শিশুটি।বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শিশুটির বোন জামাই সজিব হোসেন (১৮) ও তার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪২) শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বড় বোন টের পেয়ে গেলে তাকে আলাদা রুমে আটকে রাখে।সকালে বড় বোনের শাশুড়ি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবং প্রতিবেশীরা তাদের ফোন করে জানায়। এরমধ্যে পুলিশ সজিব ও তার বাবা হিটু শেখকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসকরা জানিয়েছে শিশুটির অবস্থা ভালো না। এখন পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় আছে। তার গলায় আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার গলা টিপে ধরা হয়েছিল। বর্তমানে শিশুটি ঢামেক হাসপাতালের পিআইসিইউতে ভর্তি আছে।ওয়ার্ডের সামনে গিয়ে দেখা যায় শিশুর মায়ের প্রায় বেহুঁশ অবস্থা। বড় বোন ও ঢাকায় চলে এসেছে। তবে এক আত্মীয়ের বাসায় আছে। মা বার বার বলছে আমার মেয়ের কি হবে। আমার মেয়েকে মেরে ফেলছে ওরা। আমি ওদের ফাঁসি চাই।এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক জানান, শিশুটির অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ওয়ার্ড থাকা এক চিকিৎসক জানান, শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে আগামীকাল বিস্তারিত জানানো হবে।অন্যদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কুলাঙ্গার তালই কে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা একটি সূত্রে জানা গেছে কুলাঙ্গার তালইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ