• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় গনঅধিকার পরিষদের অফিস 

বিশেষ প্রতিনিধি :
Update Time : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি

বাবুগঞ্জে গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক রানা ও মাসুম হাওলাদার স্থানীয় কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে ব্যানার পোষ্টার টানিয়ে উপজেলা গনঅধিকার পরিষদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে এ বিষয়ে সংগঠনের জেলা কমিটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত অফিসের নামে দলের ইমেজ নষ্ট করায় উপজেলা ছাত্র,যুব এবং গনঅধিকার পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দ জেলা গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি শামীম রেজা ও এইচ এম হাসান,আহবায়ক দাবি কৃত রানা,মাসুমকে গত ২১শে ফেব্রুয়ারি উপজেলার গনঅধিকার পরিষদের অফিস উদ্বোধনে উপস্থিত জনতার মাঝে হুশিয়ারি দিলে কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি হইতে রানার ব্যাক্তিগত অফিস ব্যানার পোস্টার সরানোর জন্য তিন দিনের সময় চেয়ে নেয় রানা। কিন্তু অন্যান্য নেতাকর্মীরা মেনে নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রানাকে প্রত্যক্ষ ভাবে কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিষয়টি দেখবেন বলে রানাকে সংশোধন করে দেন।কিন্তু আহবায়ক দাবী করা রানা ও সদস্য সচিব মাসুম হাওলাদার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জেলার শামীম রেজা ও এইচ এম হাসানের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিষয়ে উপজেলার রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেই চলেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে জেলা গনঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন জানান,বাবুগঞ্জ উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটির যে সমস্যা বিদ্যমান সে সম্পর্কে আমরা জেলার সবাই অবহিত রয়েছি এবং সেখানে জেলা সভাপতি শামীম রেজা ও সাধারন সম্পাদক এইচ এম হাসানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যান্য উপজেলার কর্তৃত্ব অর্জন করতে ব্যর্থ হলেও বাবুগঞ্জে বিতর্কিত সম্মুখীন আহবায়ক রানা ও সদস্য সচিব মাসুম হাওলাদারকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। এছাড়াও জেলা কমিটি কর্তৃক বাবুগঞ্জ উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের উপ কমিটির পাঁচ জন নেতা রয়েছেন তাদের উপেক্ষা করে তাঁরা সেখানে কিভাবে হস্তক্ষেপ করে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে যুগ্ম আহবায়ক মাসুম বিল্লাহর সাথে স্বাক্ষাৎ কালে তিনি বলেন,বাবুগঞ্জ উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটি হওয়ার শুরু থেকেই আহবায়ক ও সদস্য সচিব বিতর্কিত। এ বিষয়ে উপজেলা গনঅধিকার, যুবঅধিকার ও ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের অসাংগঠনিক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একাধিকবার জেলার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বরাবর চিঠি করলেও কোনো সদুত্তর মেলেনি। খবর নিয়ে জানা যায় সভাপতি শামীম রেজা ও সাধারন সম্পাদক এইচ এম হাসান বাবুগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক ও সদস্য সচিব মাসুম হাওলাদারের রহস্য জনিত ঘটনায় তাদের অন্যায় ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমে অতিষ্ঠ নেতা কর্মীরা আজও কোনো সমাধান পাননি। জেলার শীর্ষ নেতারা বিষয়টিকে সমাধানের আশ্বাস দিলেও সভাপতি শামীম রেজা ও সাধারন সম্পাদক হাসান ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম আকাশ ও সাধারন সম্পাদক রিয়াদ জানান, উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক দাবীকৃত রানা আহমেদ স্থানীয় রাজনীতিতে বেমানান তাদের মতো উগ্রবাদ নেতারা বাবুগঞ্জের রাজনীতি কিভাবে নেতৃত্ব দিবে আমাদের বোধগম্য নয়। যেখানে গনঅধিকার পরিষদের নেতারা ছাত্র ও যুবকে একত্রিত করনের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে সেখানে তাঁরা বৈরিতা সৃষ্টি করে রাজনীতি করতে চায় যা নিতান্তই বোকামি। বাবুগঞ্জ উপজেলা গনঅধিকার পরিষদের উপ-কমিটির পাঁচ জনের মধ্যে জেলা গনঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ দুলাল জানায় আমরা উপ-কমিটির সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম পাপ্পু,সহ-সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া সৌরভ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ পালোয়ান সহ বাবুগঞ্জ উপজেলার বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করলেও জেলার সভাপতি শামীম রেজা ও সাধারন সম্পাদক এইচ এম হাসান তারা বারবার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তবে গত ২১শে ফেব্রুয়ারিতে জেলা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা আহবায়ক ও সদস্য সচিব স্থানীয় নেতা কর্মীদের দ্বারা হেনস্তার স্বীকার হলে বিতর্কিত বিষয় সহ অফিস সরিয়ে নিতে সময় আবেদন করলে যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ভাই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও আজও বাস্তবতা ফিরে আসেনি।


এ বিভাগের আরও সংবাদ