মো. তৌফিকুর ইসলাম।
বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তরতক্তাবুনিয়া গ্রামে পারিবারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা শশুড় ও শাশুড়ীকে জামাতা কর্তৃক মারধোর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মফিজ হাওলাদার ও আব্দুর রব হাওলাদার ও মিলন হাওলাদার তিন ভাইর সাথে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকালে মফিজ হাওলাদারের মেয়ে জামাতা শিবলু শরিফ, মফিজ হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ, মফিজ হাওলাদার, নিজে ও তার স্ত্রী হেমেলা বেগমরা মেয়ে জামাতা শিবলু ররিফের নেত্বে চাচা শশুড় আব্দুর রব হাওলাদার ও মিলন হাওলাদারের ঘর বাড়ী ভাংচুর করে ও ও চাচা শশুড় আব্দুর রব(৫০) মো. মিলন (৪০) মোর্শেদা (৪০) নপুর(৩০)কে মারধোর করে আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা আব্দুর রব হাওলাদার ও মিলন হাওলাদারকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন দুপুর দটার দিকে। ঐ দিন দুপুর ২ টা ৩০ এর সময় শিবলু শরিফের নির্দেশে শিবলুর ভগ্নিপতি আমতলী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরু মিয়ার ছেলে ফিরোজ অপরিচিত কিছু লোক নিয়ে হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে বেডে থাকা মিলন হাওলাদার(৪০)কে মারধোর করেন। তখন হাসপাতালের অন্য রোগিদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। হাসপতালের বেডে থাকা অন্য রোগিরা জনান হটাৎ কিছু লোক এসে মারধোর শুরু করেন। তখন হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স সুলতানা পারভিন বলেন আমি অন্য রোগিদের সেবা দিচ্ছিলাম মারামারি দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। এব্যাপারে শিবলু শরিফ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডা: চিন্ময় কুমার দাস বলেন বিষয়টি আমতলী থানাকে অবহিত করার জন্য জরুরী বিভাগে কর্মরতদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন এ বিষয় এখোনো কোন অভিযোগ পাইনাই । অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।