নবীনগর প্রতিনিধ।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের ডোপাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি ও পঞ্চম শ্রেণির সার্টিফিকেট প্রদানের নামে ঘুষ নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান খাঁন। সরেজমিনে এসব ঘুষ বাণিজ্যের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে আমাদের নবীনগর প্রতিনিধির কাছে। বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মায়া বিনতে মনি ও ফাতেমা আক্তার জোহরা জানিয়েছেন, তাঁরা পঞ্চম শ্রেণির সার্টিফিকেটের জন্য ২৫০ টাকা করে প্রধান শিক্ষককে প্রদান করেছেন অভিভাবকদের দাবি, শিশু শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৫০ টাকা এবং পঞ্চম শ্রেণির সার্টিফিকেটের জন্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের।স্বপ্নাহার বেগম নামে এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ের সার্টিফিকেটের জন্য ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। পারভীন নামে আরেক অভিভাবক অভিযোগ করেন, তার দুই মেয়ের ভর্তির জন্য ১০০ টাকা দাবি করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। আমিন মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, তার নাতির শিশু শ্রেণিতে ভর্তির সময় ৫০ টাকা দিতে হয়েছে।স্থানীয় অভিভাবকরা শিক্ষার মান নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।মহিলা অবিভাবকসহ- সাইমন নামে একজন বলেছেন, শিক্ষকরা দেরিতে স্কুলে আসেন এবং দুপুর দুইটার দিকে চলে যান, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পাঠদান পাচ্ছে না।স্কুলের সাবেক ছাত্র মোস্তফা কামাল জানান,৭-৮ বছর ধরে স্কুলের শিক্ষার মান ক্রমশ খারাপ হচ্ছে এবং শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস করান না। শিক্ষার মান উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখেন না। এহসানুল হক মিলন নামে একজন অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় শিক্ষকরা ব্ল্যাকবোর্ডে উত্তর লিখে দেন পাশের হার বাড়ানোর জন্য।প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান খান এসব অভিযোগ স্বীকার করে জানান, সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকার পরেও তিনি ভর্তি ফরম ও শিক্ষা সামগ্রীর জন্য অর্থ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত উপস্থিতির জন্য সিলেবাস শেষ করতে না পারার দোহাই দেন। তিনি আরো জানান, ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল কাজের জন্য তিনি ঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারেন না।নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষাব্যবস্থা বিনামূল্যে করেছেন সরকার। তবে ইতিপূর্বে ডোপাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।