কে এম সোহেব জুয়েল ll
বাবুগঞ্জে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণের কার্ড একাধিকবার বিতরণ করায় সচেতন মহল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় লক্ষ্য করা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাবুগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। নিমন্ত্রন কার্ড সুত্রে জানা গেছে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এই আয়োজন উপলক্ষে অতিথিদের মাঝে একই কার্ড একাধিকবার ছাপিয়ে বিতরণ করায় হতশায় যেমনি পরছেন অভিভাবক ও অতিথি বৃন্দরা, তেমনি তারা মনে করছেন একাধিকবার কার্ড ছাপিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ আর এর প্রভাব বিস্তার করে আসছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের এমনটাই মনে করছেন তারা। এ বিষয় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ইচ্ছে করে আমরা করি নাই। তা হলে কেন একাধিকবার কার্ড ছাপিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছেন এর প্রভাব কি শিক্ষক অভিভাবকদের উপর পরছেনা ? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি সদ উত্তর না দিয়ে তার ব্যাস্হ সময় দেখিয়ে ফোন কেটে দিলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমান। তবে নিমন্ত্রণি প্রথম বাড়ের বিতরনি কার্ডে বিশেষ অতিথি হিসেবে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবদুল মালেক শিকদার,ইউনিয়ন সাবেক সদস্য সচিব মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান মামুন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদ, সাবেক সভাপতি কৃষক দল বাবুগঞ্জ উপজেলা, মোঃ মাকসুদ মৃধার নাম দেখা গেলেও দ্বিতীয় বারের নিমন্ত্রনী কার্ডে তাদের নাম লক্ষ্য করা যায় নাই।অপরদিকে গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাকোকাঠি, সাহাজিরা, সিঙ্গা, মজিষা গ্রামের একাধিক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্যাণ্য এলাকার চেয়ে ওই বিদ্যালয়ে তাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি বলে দাবি জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কার্ডে তাদের এলাকার কেউর নাম না লিখে আগরপুরের ব্যক্তি বিশেষ লোকদের কার্ডে নাম প্রকাশ করা হয়েছে এখানেও স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বার্থপরায়নতা দেখিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানিয়েছেন তারা। তবে এ সকল হিংসাত্মক চিন্তাধারা থেকে বেড়িয়ে আসতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহলের লোকজন।