নিজস্ব প্রতিনিধি :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা সদরে বরখান্ত হওয়া সাবেক অধ্যক্ষকে পূর্ণবহালের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ে অধ্যয়রত শিক্ষার্থীদের উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অভিভাবক সাহাবুল ইসলাম,মুরশিদা ইসলাম,সাবিনা বেগম,রপালী বেগম,বিউটি খাতুনসহ ৬৫ জন স্বাক্ষরিত অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ/ প্রধান শিক্ষককে অত্র বিদ্যালয়ে পূর্ণবহাল না করার জন্য সভাপতি কেজি স্কুল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, অভিযোগকারীগণ বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারেন যে, বরখান্ত হওয়া সাবেক অধ্যক্ষ একজন নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি তিনি মদ্যপান অবস্থায় স্কুলে এসে নিজ ইচ্ছামতো ক্লাস করাতেন কোমলমতি শিশুদের অশ্লিল ভাষায় গালমন্দ ও বকাধকা করতেন সেখানে তৎকালীন নির্বাহী অফিসারে ছেলে নিরাপদ ছিল না, সেখানে সাধারন মানুষের ছেলে/মেয়ে নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত অভিভাবকগণ। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কেলেঙ্কারি, মদ্যপান, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত,এমনকি তিনি ২ সন্তানের জননীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অজানার উদেশ্যে পাড়ি দেন অভিযোগে উল্লেখ করেন। উভূঅ/মোহনপুর/তদন্ত/২০০৮-৬৫৯ তারিখ ৩০/০৪/২০০৪ খ্রিঃ তৎকালীন আজিজুল রহমান দিং মিরাজুল ইসলাম ( মতিন) আনীত অভিযোগগুলো ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি ছাড়া স্কুলের টিন সেট রুম, দুটি ভ্যানগাড়ী, বিদ্যুৎ বিল টাকা ,ইউএনও জনাব আবুল ফজল মীরের স্বাক্ষর জাল করে কম্পিউটার শিক্ষক ও নাইট গার্ড নিয়োগ দিয়ে তাদের ৭০ হাজার টাকা আতœসাত করেন এবং নিজের মনগড়াভাবে স্কুল পরিচালনা করেন এসব অভিযোগ বিরুদ্ধে সরজমিনে তদন্ত করেন তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফরিদা ইয়ামিন তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর রির্পোট দাখিল করেন। আনীত অভিযোগসমূহে সাবেক বরখান্তকৃত অধ্যক্ষ নুরুল হাসান রোমিও এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থের অপচয়,ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন গ্রহন না করা,মালামাল বিক্রি করে দেওয়া এবং জুয়াখেলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যাতা প্রমানিত হয়েছে তদন্তে আলোকে গত ২৯/০৫/০৮ খ্রিঃ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির বিশেষ সভায় সিদ্ধান্তক্রমে তাকে সাময়িক বরখান্ত করা হলো মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনউল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত যার স্বারক নং-উনিঅ /মোহন/ মোহনঃ কেজি/০৮-৮৬৯ তারিখ ০১/০৬/২০০৮ খ্রিঃ কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। পত্র প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে সে কারণ স্বাক্ষরকারী বরাবর দাখিলের জন্য বলা হয়। উল্লেখ্য জবাব দানের ব্যর্থতায় ধরে নেওয়া হবে এ বিষয়ে তাঁর কোন বক্তব্য নেই। ১০(দশ) কার্যদিবস কোন উত্তর না দেওয়া কারণে নুরুল ইসলাম রোমিওকে স্থায়ীভাবে বরখান্ত করা হয়। ১৬ বছর কোন পরে তিনি আবাও অদৃশ্য কারণে উক্ত মোহনপুর কেজি স্কুলের অধ্যক্ষ/ প্রধান শিক্ষক পদ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে মনিরা আক্তার সাথী জানান, শিক্ষার্থী অভিভাবক বৃন্দ এত আপত্তির পরেও যদি লম্পট সাবেক অধ্যক্ষ/ প্রধান শিক্ষককে পূর্ণবহাল করা হয় তাহলে তাহলে তাদের ছেলে/মেয়েদের নিরাপত্তা কথা ভেবে স্কুল পরির্বতনের কথা ভাবতে হবে।এমনকি উপজেলা বিভিন্ন স্থানে বরখান্তকৃত অধ্যক্ষ/ প্রধান শিক্ষক পদ ফিরে পাচ্ছেন এমনি কথা প্রচার হলে ইতি মধ্যে তৃতীয় শ্রেণীর ২৪ জন শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এলাকার সুধীজন আঃ ওহাব জানান, ওই স্কুলে জমি দাতাদের বাদ দিয়ে যার মোহনপুর কেজি স্কুলে যার কোন অবদান নাই । নুরুল ইসলাম রোমিও এর আপন ভগ্নিপতি আব্দুল আজিজকে পরিকল্পিত ভাবে ও সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে শ্যালককে পূর্নবহাল করতে আজিজকে দাতা সদস্য বানানো হয়েছে। শুধু তাই নয় তাকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের আহবায়ক করা হচ্ছে ও শুনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সভাপতি কেজি স্কুল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আয়শা সিদ্দিকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,অভিযোগ পেয়েছি। এখন পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। নিয়োগ বোর্ডের কমিটি গঠন করে নিয়ম অনুসারে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।