নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) (ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২৪ এর জুলাই-আগষ্ট ফরিদপুরে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার উপর সকল হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে,(১৯ জানুয়ারি) রবিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে পুনাক রেস্টুরেন্টের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানার সভাপতিত্বে, এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইমতিয়াজ নীরব শান্ত, আবরার নাদিম ইতু, মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান হৃদয়, সাজিদ খান, আবু নাঈম বিহন, জেবা অতশি, সিফাত ওয়ালিদ প্রমুখ।সমন্বয়ক সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার উপর নৃশংসভাবে হামলাকারীরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ প্রশাসন তাদেরকে গ্রেফতার করছে না৷ এমনকি তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অতিথির আসনে বসছে৷ তিনি বলেন, ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নাছির ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরাসরি তার বাহিনী নিয়ে হামলায় অংশ নেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নাছিরসহ হামলাকারীদের আশানুরূপ দৃশ্যমান গ্রেপ্তার দেখাতে না পারলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসবো। অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে জানায়। তিনি আরোও বলেন, পুলিশ খুঁজে না পেলেও এমন একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে গোলাম নাছির শুধু একা নন ঐ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে দেখা গেছে জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জুবায়ের জাকিরকে। বক্তব্য দিতে দেখে ফরিদপুরের সাধারণ মানুষ ও ছাত্র সমাজ হতবাক।সংবাদ সম্মেলনে, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ নাছিরের ফাঁসির দাবীতে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন সমন্বয়করা।গ্রেফতারের বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা হামলার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।