• মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

বিক্রিত বনভুমির নির্মিত বসতঘর উচ্ছেদঃএলাকাকে রোহিঙ্গা পল্লী বানাতে চাই ফারুক সিন্ডিকেট 

চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি
Update Time : সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫

চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি।।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের,ফুলছড়ি রেঞ্জাধিন,খুটাখালী বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিক্রিত বনভূমিতে রোহিঙ্গা আব্দুল্লা মোঃ হারেছ এর করা নির্মিত বসতঘর উচ্ছেদ করেন সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ।এই রোহিঙ্গাকে স্হাপনা তৈরীর জন্য সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন ওই এলাকার দাগী লোক ফারুক সিন্ডিকেটের লোকেরা।সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ দিকে খুটাখালীর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাগাইন্না পাড়ায় উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী বনসংরক্ষক ও ফুলছড়ি ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশিক আহসান।অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুটাখালীর বনবিট কর্মকর্তা নাজমুল।তিনি জানান-আমাদের অজান্তে রাতারাতি আমার বিটের বাগাইন্না পাড়া নামক স্হানে টিনের ঘেরাবেড়া দিয়ে ছোট্ট করে টিনের ছাউনি দিয়ে একটি বসত তৈরী করেছে জাফর আলমের ছেলে আব্দুল্লাহ মোঃ হারেছ।পরে একই ওয়ার্ডের একজন ও ভিন্ন ইউপির আরেকজন সংবাদকর্মীর গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তা মহোদয়কে অবগত করি।তখন রেঞ্জ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ঘেরাবেড়া সহ নির্মিত বাড়ীটি উচ্ছেদ করি।উচ্ছেদের আগে-পরে স্হানীয় ফারুক সিন্ডিকেট বাড়ীটি কন্ট্রাক নিয়ে করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্হানীয় লোক সহ সংবাদকর্মীরা।এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানান-সংরক্ষিত বনভূমির জায়গাটি প্রথমে রোহিঙ্গা মৌলভী ছালেহ আহমদ বিক্রি করেছিল তার শালি রোহিঙ্গা মালেইশিয়া প্রবাসী আবুল কাশের স্ত্রী রিজওয়ানারা।পরে রিজওয়ানারা ৩লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে জায়গাটি তাদের আত্মীয় রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহ মোঃ হারেছকে।তাদেরকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে কন্ট্রাকে বসতি নির্মাণ করান ওই ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচার বদিউল আলমের ছেলে দাগী লোক মোঃ ফারুক সিন্ডিকেট সহ আরো ২/৩জন লোক।যা উচ্ছেদের ভিডিওতে প্রমাণ রয়েছে।ওরাই এলাকাটাকে রোহিঙ্গা পল্লী বানাতে চাচ্ছে নিজের পকেট ভারী করার জন্য।


এ বিভাগের আরও সংবাদ