• মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

দুমকিতে ৩১শয্যার স্বাস্থ্য কমপেক্স চিকিৎসা কার্যক্রমে ত্রাহি অবস্থা।

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।

পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে চিকিৎসা কার্যক্রমে ত্রাহি অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারি চিকিৎসা সেবার এ উপজেলা হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বেশীরভাগই বেলা ১১টার আগে কেউ কর্মস্থালে আসেন না। একারণে কর্মচারিদের অধিকাংশই হেলায়-ফেলায় দিন গুজরান করছেন। এতে ৩১শয্যার উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালটির এমন করুণ হাল দেখা গেছে।বেলা পৌণে ১০টায় উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল বেশ কয়েকজন লোকের জটলা। এগিয়ে গিয়ে শুনাগেল আউটডোরে বেশ কিছু রুগী এসেছে কিন্তু ডাক্তারের দেখা পাওয়া যচ্ছে না। অফিস সহায়ক বশির উচ্চ কন্ঠে বলতে শোনাগেল টি.এইচএ (ডা: মীর শহীদুল হাসান) বরিশালের একটি মিটিংয়ে গেছেন। আরএমও ডা. এনামুল হকের চেম্বার খোলা থাকলেও তিনি তার চেয়ারে নেই। অন্যান্য ডাক্তারের চেম্বারগুলোতে তালা ঝুলছে। ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, টিএইচএ’র রুমে তালা ঝুলছে। চেম্বার খোলা থাকলেও ডা. মাজেদা বেগমের চেয়ার শূণ্য। ফার্মেসীর জানালা খোলা থাকলেও দরজা বন্ধ, প্যাথলজির দরজা খোলা লোক শূণ্য, ওটি ও এক্স-রে বিভাগে তালা ঝুলছে। খানিক পরে ডা: এনামুল হক তাড়িঘড়ি করে চেম্বারে হাজির হন। তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, সবাই আছেন, আপনি দেখছেন না। দোতলার পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ১৫টি বেডের মধ্যে ৩/৪টি বেডই শূন্য। ১১টি বেডে ১০জন রুগী শুয়ে আছেন। মহিলা ওয়ার্ডের অবস্থাও অনুরূপ। ৩নং পুরুষ বেডের ভর্তি পেটে ব্যাথার রুগী মন্নান মৃধা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে ভর্তি হয়ে ভুল হয়েছে, ডাক্তার আসে না, তিন দিন আগে একবার দেখে গেছে আর ওই ডাক্তারের দেখা পান নাই। হাসপাতাল থেকে কোন ঔষধ পাওয়া যায় না, বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। খাবারের প্রশ্নে তিনি বলেন, সকালে ৫ টাকা দামের দুটি রুটি ও কলা, দুপুর ও রাতে একপ্লেট ভাত দেয়,চিকিৎসা সেবা না থাকার পরেও আছেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ’কি করমু বাবা, গরীব মানুষ, টাকা-পয়সা নাই, ঔষধ না দিলেও দুবেলা ভাততো দেয়, এ্যারলগ্যিই (এর জন্য) আছি’ ।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা ও টিএইচএ ডা: মীর শহীদুল হাসান শাহীন মোবাইল ফোনে জানান তিনি বরিশালে একটি মিটিংয়ে আছেন। ১০টায়ও কর্মরত চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিদেও কেউ আসেন নাই এটাতো হতে পারে না। খোজ নিয়ে দেখি, এমনটি হয়ে থাকলে অবশ্যই দায়িত্ব অবহেলার দায়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 


এ বিভাগের আরও সংবাদ