চকরিয়া প্রতিনিধি।।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী রিংভং ছগিরশাহকাটা এলাকায় প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকদের ব্যারিকেড দিয়ে নগদ টাকা মোবাইল ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এসময় দুর্বৃত্তরা তাদের মারধর ও কুপিয়ে আহত করছে বলেও ভুক্তভোগীরা জানান।ইতিপূর্বে অন্তত ১০-১২ টি মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্নসূত্রে জানা গেছে। এদিকে থানার শরনাপন্ন হলেও কাঙ্খিত সুফল কেউ পায়নি বলে জানান অনেকে।জানা যায়, রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার তারানগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউনুছ আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে তারা রওয়ানা দেন। পরদিন শনিবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ৬ জন সন্ত্রাসী দুটি মোটরসাইকেল যোগে তাদের ব্যারিকেড দিয়ে থামান। পরে সড়কের পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা মোবাইল সেট ও মোটরসাইকলে নিয়ে সটকে পড়েন। পরে আহত পর্যটক ইউনুছ আলী ও তার স্ত্রী স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।তারা থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।আহত পর্যটক ইউনুছ আলী বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই ইমিটেশনের অলংকার তৈরীর কাজ করেন। টাকা জমিয়ে মোটরসাইকেল যোগে কেরানীগঞ্জ থেকে তারা কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে এভাবে তাদের নিঃস্ব হতে হবে তা কল্পনার বাইরে। পরে ওইদিন রাতে তারা এলাকায় আত্মীয়স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে ঢাকায় যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, মোটরসাইকেল যোগে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কক্সাবাজার বেড়াতে আসা নিরাপদ নয়। এ বিষয়ে পর্যটকদের সচেতনতা দরকার। এছাড়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল ব্যারিকেড দিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল ও মোটরসাইকেল ছিনতাই কাজে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। শীঘ্রই জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে বলে তিনি জানান।