কাঠালিয়া থেকে রাজীব খান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার দুই ওয়ার্ডের ৪.৫.৬.নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসাঃ সাবিনা ইয়াসমিন ও পার্শ্ববর্তী ৬.নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জায়েদুল আলম খাঁন) মিলে দুইটি অসহায় পরিবারের কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের ও সমস্যার সমাধান করে দেবেন বলে ছেলেপক্ষ ও মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে আশি হাজার টাকা।সদস্যদের কাছ থেকে প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগী মোঃ কাওসার মির্ধা ( পিতা মোঃ কুদ্দুস মৃধা)দৈনিক যায়যায় বেলাকে জানিয়েছেন আমি আমার স্ত্রী মোসাঃ সুমনা কে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করতে ছিলাম হঠাৎ করেআমার স্ত্রীর সাথে আমার বৃদ্ধ মা-বাবার সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হয় আমার স্ত্রী মোসাঃ সুমনা বেগম, রাগ করে আমার মাকে রেখে রেখে আলাদা করে ঘর সংসার করার প্রেসার দেয় এবং আমার সাথে মনমালিন্য ঘটে এ সময় আমার স্ত্রী রাগ করে তার বাবার বাড়িতে চলে যায় মৌখিকভাবে দুই ইউপি সদস্যের কাছে আমার নামে অযৌক্তিক অভিযোগ করে সেই সুযোগে আমরা দুই পরিবারের উভয় সম্মিলিত হয়ে সমাধানের জন্য ৪ নং উত্তর আনাইলবুনিয়া গ্রামে মোসাঃ সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়িতে যাই । এ সময় দুই ইউপি সদস্য একত্রিত হয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন এবং মুঠোফোন হাতে নিয়ে থানা পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছাত্রলীগের ভয় দেখিয়ে বলেন। আমাদের চেয়ে বেশি বুঝলে সোজা জেলখানায় পাঠিয়ে দিব এই বলে হুমকি ধামকি এবং আমার মা-বাবাকে ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে দুই ইউপি সদস্য মোসা সাবিনা ইয়াসমিন ও মোঃ জায়দুল আলম খাঁন। শুনুন ছেলে পক্ষের কাছ থেকে,,,তাই নিরুপায় হয়ে আমরা জিজ্ঞেস করি আমরা এখন কি করব তখন ইউপি সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ও মোঃ জায়দুল আলম খাঁন বলেন তোমাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং মেয়ে পক্ষের কাবিনে উল্লেখ থাকা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে অন্যথা মামলা হামলার শিকার হতে হবে তাই নিরুপায় হয়ে একপর্যায়ে ৮০,০০০ হাজার টাকা দিতে পারব বলে আমার মা জানান কিন্তু আমাদের কয়েকদিন সময় দিতে হবে। আমরা গরিব অসহায় এত টাকা এত দ্রুত দিতে পারব না বলে জানাই পরবর্তীতে কয়েকদিন পরে আমার পরিবারের তিনটি ছোট ছোট গরু বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করি এরপর আমার পরিবারের কাছে একটি লিখিত কাগজ পাঠিয়ে দেন। সেখানে উল্লেখ থাকে ০৫/০৭/২০২১ইং রোজ সোমবার বটতলা বাজারে মিষ্টির দোকানে বৈঠক হয়েছে বলে একটি আপস মীমাংসার কপি দেখে জানা যায় কিন্তু মেয়ে পক্ষকে কোন টাকা না দিয়ে ভুয়া একটি কাগজ ধরিয়ে দেয় দুই ইউপি সদস্য।এটা কি চোরের উপর বাটপারি উক্ত বিষয় মেয়ের মায়ের কাছ থেকে জানা যায় দুই ইউপি সদস্য ছেলে পক্ষের কাছ থেকে কাবিনের টাকা বাবদ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কিন্তু মেয়ের মাকে দিয়েছে ৩০০০০ টাকা তা থেকেও ৬.নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জায়েদুল আলম খাঁন, সালিশ বৈঠক করে টাকা আদায় করে দিয়েছি আমাদের খরচ হয়েছে এজন্য ৩০০০০ টাকা থেকে দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় শুনুন মেয়ের মায়ের মুখ থেকে ,,,,আরো তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মোসাঃ সাবিনা ইয়াসমিন ৪.৫.৬.নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও কাঁঠালিয়া উপজেলা মহিলা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেত্রী। এবং ঝালকাঠি আদালত সহ বিভিন্ন আদালতে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা সহ পাঁচটি মামলা চলমান রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায় ।এবং মোঃ জায়েদুল আলম খাঁন ৬.নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও কাঠালিয়া উপজেলা স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের ১ নং সহসভাপতি দায়িত্বে ছিলেন। স্থানীয় একাধিক সচেতন মহল দৈনিক যায়যায় বেলাকে বলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় টাকার বিনিময় উপজেলায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে এই দুই ইউপি সদস্য মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিবাহ বিচ্ছেদ বাল্যবিবাহ সম্পন্ন এবং পুলিশের ভয় দেখিয়ে ছেলেপক্ষ মেয়ে পক্ষ দুই পক্ষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা আওয়ামী লীগের ভয়ে কেহ মুখ খুলতে পারেনি বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে কিন্তু এদের জুলুম এখনো চলমান রয়েছে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি অতি দ্রুত এ সকল প্রতারকদের আইনের আওতায় নেওয়া হোক।