মোঃ মাসুম শিকদার বরিশাল।
সোমবার রাত ৭:৩০ মিনিটে নথুল্লাবাদ মাছ বাজারে মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এয়ারপোর্ট থানার এসআই ইদ্রিস আলী সহ একটি চৌকস টিম নিয়ে ঝাঁটকা ইলিশর অভিযানে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ রাকিব এবং মোঃ হানিফের কাছ থেকে ঝাঁকটা ইলিশ জব্দ করে মৎস্য কর্মকর্তা।
এ সময় মৎস্য কর্মকর্তার উপর বিক্ষুদ্ধ হয়ে বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা এবং মাসোয়ারা বিটের টাকা নেয়ার অভিযোগ তুলে এবং জনসম্মুখে মৎস্য কর্মকর্তার গাড়ি চালককে মারধর করে এ সময় বাধা দিলে মৎস্য কর্মকর্তা বিমল দাসকে টেনেহেঁচড়ে হেনস্থার শিকার হতে দেখা যায় । উক্ত বিষয়টি তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পরলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি দাস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে। মেসার্স ফাহিম মৎস্য আড়ৎ এর প্রোঃ মোঃ ফোরকান মিয়াকে সাথে নিয়ে মাসোয়ারার বিষয় ধামাচাপা দেয়ার জন্য দ্রুত সালিস মিমাংসার মাধ্যমে দুই পক্ষকে একত্রিত করে মিলিয়ে দেয়।এবং মৎস্য কর্মকর্তার গাড়ি চালক প্রত্যেক মাসে মাসোয়ারা হিসাবে বাজার থেকে যে টাকা কালেকশন করত এমন তথ্যটি গোপন করার চেষ্টা চালায় তাতে বাজার এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।এ বিষয় মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস, দৈনিক যায়যায় বেলার প্রতিবেদককে জানান, জলা মাজিস্ট্রেটকে অবহিত করে অভিযান চলাকালে মৎস্য ব্যবসায়ীদের থেকে ঝাঁটকা ইলিশ জব্দ করিলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হেনস্তার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমার সিনিয়ররা এসে বিষয়টি মিমাংসা করেন। এমন তথ্য দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। মৎস্য কর্মকর্তা কিন্তু প্রশ্ন হল মৎস্য কর্মকর্তার ড্রাইভারকে মাছ ব্যবসায়ীরা মাসোয়ারা হিসাবে যে টাকাগুলো দিতো সেই টাকাগুলো কোথায় যেত ।