দৈনিক যায়যায় বেলা।।
বাবুগঞ্জে সাংবাদিক কে এম সোহেব জুয়েল হত্যা প্রচেষ্টাকারি মোর্শেদ - ৫০ ও নান্নু খান - ৫১ সহ জড়িত একাধিককে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন সাংবাদিক কে এম সোহেব জুয়েল।মামলা নং ০৮ তাং ২৫-১১-২৪ ইং। এ ঘটনায় রাতেই মোর্শেদ ও নান্নুকে ধরতে পুলিশ পুলিশ অভিযান চালায়। মোর্শেদ বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ঠাকুর মুল্লিক গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের পুত্র। ও তার সহযোগী নান্নু একই গ্রামের মৃত মোঃ আলী আজিম খানের পুত্র। সন্ত্রাসী মোর্শেদ ২০১২ ইং বরিশাল র্্যাব - ৮ এর হাতে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রাম থেকে আগ্নেয় অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন জেল খেটে যাবিনে বের হন। যার বাবুগঞ্জ থানা জিআর অস্ত্র মামলা নং - ৬০/১২ । স্হানীয়রা জানায় স্বৈরাচারী সরকার শেখহাসিনা থাকাকালীন সময উজিরপুর উপজেলার হাতরা বাজার ডাকাতির সন্দেহে নিজ এলাকা বাবুগঞ্জের আগরপুর থেকে বরিশাল পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী মোর্শেদকে দলিও সরকারের দোষরদের প্রভাবের কারনে ছুটে আসেন তিনি। অপর দিকে তার সহোযোগি নান্নু একই কাজ করে বেড়ান। তিনি (নান্নু) জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সন্ত্রাসী মোর্শেদ জাতীয় পার্টির জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সদস্য হিসাবে কেন্দ্র দখল ভোট ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড করে বেড়াতেন তারা স্হানীয় সুত্র জানায়। তাদের ভয়তে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারে নাই তৎকালীন সময়ে। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিকদের হত্যার কন্টাকে কাজ করতেন তারা। ঝালোকাঠির সাংবাদিক মোল্লা শাওনকে হত্যা করার জন্য ওই এলাকার সন্ত্রাসিদের সাথে ভারাটিয়া হিসাবে মোল্লা শাওন কে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছেন অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী মোর্শেদ ও তার সহযোগী নান্নু ওই মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামীদের মধ্যে এই দুই জনকে অজ্ঞত নামা আসামী হিসাবে চিহ্নিত করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক মোল্লা শাওন। এ ঘটনায় নলচিঠি থানায় মামলা করেছেন মোল্লা শাওনের স্ত্রী। একই ধারাবাহিকতায় ২০২২ ইং স্বৈরাচারী সরকার থাকাকালীন ২৭ মার্চ বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুর বন্দরে বিকেল ৫ ঘটিকায় বিশ্বজিতের ভাই ভাই মিস্টান্ন ভান্ডারে বসে ঠিকাদারির পাওনা ৩০ লক্ষ টাকা মোর্শেদের কাছে চাইতে গেলে সাংবাদিক জুয়েল কে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করেন সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ মোর্শেদ ও সহোযোগি নান্নু সহ অজ্ঞতরা। এবং মারধর করে তার (জুয়েলের) গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।এ ঘটনায় জুয়েল গুরুতর রক্তাক্ত যখম হয়ে মাটিতে পরে গেলে স্হানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাার তার অবস্থা আসংখ্যা জনক দেখে জুয়েলকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গৌরনদী সার্কেলের পুলিশ সুপার আলবেরনি সহ একাধিক পুলিশ ও স্হানীয় সাংবাদিকরা জুয়েলকে দেখতে হাসপাতাল ছুটে আসেন। জুয়েল গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাকোকাঠি গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ খলিফার পুত্র। ও গৌরনদী উপজেলা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক, এবং গৌরনদী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংঙ্গঠনিক সম্পাদক হিসাবে নিয়োজিত থেকেও তৎকালীন স্বৈরচারী সরকারের দোষরদের প্রভাব বিস্তারের কারনে থানায় মামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন সাংবাদিক জুয়েল। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে ২৫ নভেম্বর সোমবার বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় গিয়ে সন্ত্রাসী মোর্শেদ ও নান্নু সহ অজ্ঞত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারকে মামলার নেয়ার লক্ষে অভিযোগ করেন সাংবাদিক জুয়েল। সে মতে বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোঃ আমিনুল ইসলামকে সন্ত্রাসী মোর্শেদ ও নানুকে অতিদ্রুত গ্রেফতার পুর্বক মামলা রুজু করতে নির্দেশ প্রদান করেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ---। তারি ধারাবাহিকতায় ২৫ নভেম্বর রাতে সাংবাদিক জুয়েলের হত্যা প্রচেষ্টাকারী সন্ত্রাসী মোর্শেদ ও নান্নু সহ একাধিককে অজ্ঞাত নামাকে আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক কেএম সোহেব জুয়েল। মামলা নং -০ ৮/ তাং ২৫ -১১-২৪ ইং। মামলার খবরে পুলিশের ভয়তে সন্ত্রাসী মোর্শেদ ও নান্নু পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান তবে তাদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা মাঠে অব্যহত আছে বলে জানিয়েছেন ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন।