দৈনিক যায়যায় বেলা।।
পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ।যাকে জীবনসঙ্গী করে নিয়েছিলেন, যেই স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসারের স্বপ্ন দেখছিলেন, সেই স্বামীই তার দুই বন্ধুকে ডেকে নিয়ে এসে একটি হোটেল কক্ষে গণধর্ষণ করল ২৫ বছর বয়সি রাজিয়া সোলতানা সাথী নামের এক নারীকে৷ শিউড়ে ওঠা এই ঘটনা ঘটিয়েছে শরীয়তপুরের বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ নামের এক যুবক৷এখানেই শেষ নয়, নির্যাতনের ভিডিও করে রেখে মাসের পর মাস ওই নারীকে ধর্ষণ করতে থাকে অভিযুক্ত স্বামী এবং তার দুই সঙ্গী৷শেষ পর্যন্ত এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ওই নারী৷ কিন্তু ভাগ্যক্রমে তার পরিবারের সহযোগীতায় বেঁচে যান।ধর্ষনের এই ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার দক্ষিণখান থানাদিন হোটেল আজমাইন এর ৩০৭ নং রুমে।এবিষয়ে ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে আসামিরা।সর্বশেষ ভুক্তভোগী নারী রাজিয়া সোলতানা সাথী ঢাকা দক্ষিণখান থানায় একটি এজাহার দাখিল করে বিচারের দাবি জানান। এজাহারটি হুবুহু নিম্নে তোলে ধরা হলো:অফিসার ইনচার্জ,দক্ষিণ খান থানা,ডিএমপি, ঢাকা।বিষয়: এজাহার।জনাব,যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি- নিম্নস্বাক্ষরকারী রাজিয়া সুলতানা সাথী (৩৩), পিতা: মো: আকরামুজ্জামাল মতেই ফকির,মাতা: ফাহিমা জামাল, জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৪৭৮১৩৭৩১৬. জন্ম তারিখ: ০৭/০৩/১৯৯০ খ্রিঃ, স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম-সুতিয়ারকুল, থানা+জেলা-গোপালগঞ্জ।আপনার থানায় হাজির হয়ে আসামী ১. মোঃ সাব্বির আহম্মেদ (৩৬), পিতা: ওমর ফারুক, মাতা: আফরোজা আক্তার ডলি, সাং-তিন খাম্বা, থানা-ডামুড্যা, জেলা-শরীয়তপুর এ/পি মোল্লাবাড়ী রাজ্জাক টাওয়ার, বর্তমান শফিকুল ইসলামের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-দক্ষিণাখান, ঢাকা। আসামী ২. মোঃ জাহাঙ্গীর(৩৬), পিতা-অজ্ঞাত, আসামী ৩. রবিন রায়হান(৩০), পিতা-অজ্ঞাত, উভয় সাং- হোটেল আজমাইন, আশকোনা, থানা-দক্ষিনখান, ঢাকা। এদের বিরুদ্ধে এই এজাহার দায়ের করিতেছি যে, ১নং আসামী মোঃ সাব্বির আহম্মেদ(৩৬), সহিত বিগত ৫ বছর পূর্বে আমার বিবাহ হয়েছিল। আমার স্বামী সংসারের মাইমুনা নামে দুই বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান আছে। আমার মেয়ে হওয়ার পর ১নং আসামী সহিত আমার পারিবারিক ও সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় গত অনুমান ১০(দশ) মাসপূর্ব ০১ নং আসামী আমাকে তালাক প্রদান করে। গত ১৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ১নং আসামী আমার সহিত মোবাইলে ফোন করিয়া আমাকে বলে যে, মেয়েটা শুধু কান্নাকাটি করে তুমি একটু ঢাকায় আমার বাসায় এসে মেয়েটাকে একটুদেখে যাও। তারপর আমি গত ১৫/১২/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক রাত্রী ১০.০০ ঘটিকার সময় ঢাকায় আসি, ১.নং বিবাদী আমাকে বাসায় না নিয়ে গিয়ে আমাকে কৌশলে দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনাস্থ হোটেল আজমাইন ৩০৭ নং রুমে নিয়ে আসিয়া গত ইং ১৫/১২/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় ২নং ও ৩নং আসামীর সহযোগিতায় আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১ নং আসামী মোঃ সাব্বির আহম্মেদ (৩৬), আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষন করে। তখন ২ ও ৩ নং আসামী রুমের বাহিরে থাকিয়া পাহারা দেয় যাহাতে কেউ কিছু দেখতে না পারে। পরে ২ ও ৩ নং আসামী রুমে ঢুকে তারাও আমাকে ধর্ষণ করে। ১নং আসামী আমাকে এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানাতে নিষেধ করে। পরে ১নং আসামীসহ ২ ও ৩ নং আসামী হোটেল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি উক্ত ঘটনার বিস্তারিত বিষয় আমার মা-বাবা সহ নিকট আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলোচনা করিয়া এবং ২ ও ৩ নং আসামীদ্বয়ের নাম ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।অতএব, উপরে উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে মর্জি হয়।