• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন

ক্ষমতায় যারাই এসেছেন তারাই দেশকে লুটে খেয়েছেন: মাসুদ সাঈদী।

পিরোজপুর প্রতিনিধি।।
Update Time : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

পিরোজপুর প্রতিনিধি।।

পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ বিন সাঈদী বলেছেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যে যেভাবে এসেছেন তারাই দেশটাকে তাদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করে লুটেপুটে খেয়েছেন। দেশের সম্পত্তি, দেশের অর্থ সব বিদেশে পাচার করেছে।আমরা দেখেছি বিদেশে বেগম পাড়া হতে। এর একটি কারণ হলো নীতি-নৈতিকতার সমৃদ্ধ আমরা রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশে আমরা পাইনি।শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পিরোজপুরে টাউন ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পিরোজপুর জেলা শাখা দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।মাসুদ বিন সাঈদী বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল একটা বৈষম্যহীন ন্যায় ইনসাফ নীতি-নৈতিকতার সম্পন্ন একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য। আমরা দীর্ঘ ৫৩ বছর দেখেছি যে ন্যায় ইনসাফ তো বহুদূরের কথা বরং শোষণ বঞ্চনায় ভরপুর একটি রাষ্ট্র।তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা ছিলেন তারা এই জাতিকে দিয়েছেন। আমরা দেখেছি, মানুষ দুর্ভিক্ষে না খেয়ে থেকেছে। কিন্তু শেখ সাহেবের সন্তানেরা সোনার মুকুট পড়ে বিয়েসাদি করেছেন। এটাও দেখেছি ব্যাংক ডাকাতি করেছে, ব্যাংক লুটপাট করেছে।তিনি আরো বলেন, এই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান যে গণ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ এই গণঅভ্যুত্থান শুধু ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফসল নয়। এই গণঅভ্যুত্থানে বিগত ১৭টি বছর বাংলার মেহনতি, শ্রমিক, জনতা, ছাত্র-জনতা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সংগ্রামের ফসল।যদিও আমাদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৩৬ দিনে আন্দোলন এটা পূর্ণতা পেয়েছে। কিন্তু আন্দোলন শুধু ছাত্র-জনতা নয় আন্দোলন ছিল গোটা দেশবাসীর। সেই সাথে এই আন্দোলনের ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা।যদি ৫ আগস্টের আন্দোলনে আমাদের শ্রমিক ভাইদের ব্যাপক অংশগ্রহণ না থাকতো তাহলে স্বাধীনতা আমরা পেতাম নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ তবে আরো হয়তো সময় লেগে যেত। আমরা এই বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখতে চাই।মাসুদ সাঈদী আরো বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাংলাদেশ একটি শোষণ বঞ্চনাহীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। তারা চায় সংবিধানের আলোকে সকল ধর্মের বর্ণের মানুষের সমান অধিকার।যে কারণে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চায় কিছু সোনার মানুষ তৈরি করতে। কারণ সোনার মানুষ যদি তৈরি না হয় সোনার রাষ্ট্র তৈরি হবে না। যে কারণে আজকের এই দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আমার সম্মানিত শ্রমিক ভাইদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আসুন আগে আমি নিজেকে গড়ি, এরপর আমার পরিবারকে গড়ি, এরপর সমাজ গড়ার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি।তিনি বলেন, এই পিরোজপুরের মাটিতে আমরা নতুন করে আর কোনো জালেম স্বৈরাচারকে দেখতে চাই না। শ্রমিক, ছাত্র, যুবক, নারী, পুরুষ মেহনতি জনতা সকলে মিলেমিশে একটি শান্তিপূর্ণ পিরোজপুর আমরা চাই।এই পিরোজপুরে আর কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি দেখতে চাই না। কোনো শ্রমিক আর কোনো মামলার শিকার হন তাও দেখতে চাই না। এজন্য সবার আগে যেটা প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগে নিজেকে গড়া এরপর পরিবার গড়া এরপরে সমাজ গড়া।বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পিরোজপুর জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা হারুনুর রশিদ খান, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।প্রধান বক্তা ছিলেন মো. আলহাজ কবির আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও অঞ্চল পরিচালক বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ বরিশাল অঞ্চল। বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ, জেলা আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা সেক্রেটারি।

 


এ বিভাগের আরও সংবাদ