ঢাকা জেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান কানু।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রায় সময় বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা শুনি, উনি (শেখ হাসিনা) নাকি ঠুশ করে দেশে ঢুকে পড়বেন।এই কথা পাগলও বিশ্বাস করে না। যার হাতে সরকারের প্রতিটি বাহিনীসহ হেলমেট লীগ, সন্ত্রাসী লীগ, যুবলীগ থাকার পরও যিনি নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে যান, তিনি আবারও দেশে আসবেন! এই কথা মনে করে যারা মাঝেমধ্যে উঁকিঝুঁকি মারার চেষ্টা করছেন তাদের বলবো, আপনাদের নেত্রী আর কখনো দেশে ফিরবেন না। তাই উঁকিঝুঁকি যারাই মারবেন তারাই এখন বিপদে পড়বেন।শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকায় চিলড্রেন পার্কে ইয়ুথ ফোরাম অব নারায়ণগঞ্জের আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।এর আগে, এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থ বিনোদন এবং মাদকমুক্ত আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ইয়ুথ ফোরামের ব্যানারে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। পরে র্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে চিলড্রেন পার্কে গিয়ে শেষ হয়।সেখানে মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের নেতা শহীদ মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আলী আহসান মুজাহিদসহ অনেককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ পালানোর চিন্তা করেননি। আমাদের নেতা মীর কাশেম আলী ছিলেন আমেরিকায়।উনি তখন জানতেন তাকেও মামলার আসামি করা হবে। তবুও উনি বীরের মতো দেশে এসেছেন। উনারা এ জন্য পালান নাই কারণ তারা জানেন তারা কোনো অপরাধ করেননি। উনারা ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও মাথা নত করেননি।আপনি (শেখ হাসিনা) পালাইলেন কেন? পালিয়েছেন এ কারণে, আপনি যেই পরিমাণ অপরাধ করছেন যে না পালালে পিঠের চামড়া থাকবে না। যে ট্রাইব্যুনালে আমাদের নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, সে ট্রাইব্যুনালেই আজ শেখ হাসিনাসহ তাদের লোকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ সব ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির কাস্টে ঝুলানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনো ফ্যাসিবাদের যেসব দোসররা আছেন তাদের অবিলম্বে অপসারণ করে সৎ, দক্ষ, ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের বসাতে হবে।ইয়ুথ ফোরাম অব নারায়ণগঞ্জের সভাপতি মুহাম্মদ জামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ইসলামীর যুব বিভাগ ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যুবাইর, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও উপদেষ্টা মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর প্রধান উপদেষ্টা ও আমির মুহাম্মদ আবদুল জব্বার প্রমুখ।