মোঃ মোল্লা শাওন ঝালকাঠি।।
ঝালকাঠিতে ২৫ আইনজীবীকে বিভিন্ন আদালতে আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রনালয়। রোববার ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইন ও বিচার বিভাগের উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিয়োগের তথ্য জানানো হয়।আওয়ামী দলীয় আইনজীবী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান রসুল ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ঝালকাঠিতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর একক সিদ্ধান্তে ঝালকাঠিতে এই পদে অন্য কেউ আসতে পারেননি।ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নতুন পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এড. মাহেব হোসেন। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন মো. হুমায়ুন কবির বাবুল।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর পদে মো. নাসিমুল হাসান এবং সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে মো. শাখাওয়াত হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।একই আদেশে ১৪ আইনজীবীকে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরা হলেনমো. ফয়সাল খান, সোহেল আকন, হাসান সিকদার, মিজানুর রহমান মুবিন, নুর হোসেন, শামীম আলম বাবু, আল-আমিন হাওলাদার, আনিচুর রহমান খান, মুন্সি রেজাউল হক আজিম, এস এম জসিম উদ্দিন, মুশফিকুর রহমান বাবু, শহিদুল্লাহ জমাদ্দার, মো. নাছির উদ্দিন এবং শাখাওয়াত হোসেন রাজু (নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল)।দেওয়ানি আদালতে সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য জিপি পদে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সৈয়দ হোসেন। এজিপি পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৭ আইনজীবী। এরা হলেন কামরুল হাসান খান, সাকিনা আলম লিজা, জহুরুল হক খোকন, এ ওয়াই সাইয়েদ, মাসুম হাওলাদার, খান শহিদুল ইসলাম এবং একে এম হানিফ।অপরদিকে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট খান শহিদুল ইসলাম এজিপি পদে তার নিয়োগ তিনি প্রত্যাখান করেছেন। তিনি জানান, 'আমি কখনো দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করিনি। আমি ফৌজদারী আইনজীবী। আমাকে এজিপি করে হেয় করা হয়েছে। তাই আমি এই পদ প্রত্যাখ্যান করলাম।'