মোঃফয়সাল হোসেন, রাজশাহী।।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা সড়ক-দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ও প্রাণহানি কমাতে প্রশাসনের জরুরী মতামত সংক্রান্ত- প্রদান সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ০৫( নভেম্বর) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইএনও) এর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কার্যালয়ের সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা।মতামত ও আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনও, রাজশাহী-টু নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক জুড়ে সম্প্রতি কয়েক দিন হলো প্রায় ৮ জনের মত সড়ক- দূর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।এতে গ্রাম-গঞ্জে-উপজেলা ও জেলা সহ সারা দেশব্যাপি খবর ছড়িয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে, এতে প্রশাসনের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। সড়ক দূর্ঘটনারোধে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে জরুরি আলোচনা সভার উদ্দ্যেগ নিয়েছেন মোহনপুর উপজেলা প্রশাসন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জোবায়দা সুলতানা, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) নুরুন নাহার, কৃষি অফিসার কামরুল ইসলাম, ত্রান ও দূর্যোগ কর্মকর্তা (পিআইও) তারিকুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা ইয়াসমিন, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাননান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম, উপজেলা আনসার ব্যাটালিয়ন অফিসার রাজিব উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বন্দনা শাহা, সমবায় কর্মকর্তা আনিছা দেলোয়ারা আঞ্জু, ধুরইল ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মৌগাছি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মেজর আলী বিশ্বাস, ঘাসিগ্রাম ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম,সহ সাংবাদিক বৃন্দ।আরও উপস্থিত ছিলেন, কেশরহাট ইজারাদার শওকত আলী, একদিলতলাহাট ইজারাদার ফজলুল হক, মৌগাছিহাট ইজারাদার আনোয়ার হোসেন, বসন্তকেদারহাট ইজারাদারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।মহসড়কের প্রাণ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে অফিসার ইনচার্জ (ওসি)'র নির্দেশে কয়েক দিন ধরে থানা ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান করা হয়েছে। যানবাহন আটকসহ চালকের বিরুদ্ধে হয়েছে মামলা।সড়ক-দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার বসন্তকেদার হাটের সবজ্বি হাট বসবে রাস্তার পরিবর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে, একদিলতলা বাঁশের হাট বসবে রাস্তা থেকে কিছুটা দুরে, সইপাড়া মহাসড়কের দুই ধারে বসা পান বরজের সরঞ্জাম (খেড়/ফুলকি) কেনা বেচা করতে হবে মাঠে, এ ছাড়াও প্রশসনের সিদ্ধান্ত, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কঠোর শাস্তি সম্বলিত আইন প্রণয়ন জরুরী নির্দেশ।সইপাড়া মোড়ে অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে চালানো হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সাকোয়া হতে কেশরহাট বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে কাঠ, বাঁশসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা রাখতে হবে। সড়কের দুই ধারে ও হাটের ভেতরের সরকারি জায়গা দখল কারিদের বিরুদ্ধে চলবে ভ্রাম্যমান আদালত।সড়ক পরিবহন আইন মানতে সড়কে চলাচলকারী চালক,পথচারীকে সচেতন করতে সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কঠোর শাস্তি সম্বলিত আইন প্রণয়ন জরুরী নির্দেশ প্রশাসনের। প্রশাসনের মাধ্যমে সরকার কে কিছু ম্যাসেজ দিতে চায় দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে সড়কে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটাব্যাংক তৈরির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা তহবিলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। আমাদের সড়কের অবকাঠামোগত বিস্তার ঘটছে, গাড়ি বাড়ছে, কিন্তু সড়ক নিরাপত্তা ইস্যুটি বরাবরই উপেক্ষিত থাকছে।দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা এবং বীমার প্রয়োজন।প্রতিশ্রুতি, নেতৃত্ব ও সমন্বয় সড়কে মৃত্যু কমাবে বলে মনি করি।সড়ক-দুর্ঘটনার কিছু কারন সমূহ হচ্ছে।অতিরিক্ত সড়ক নির্ভরতা, ত্রুটিপূর্ণ সড়ক অবকাঠামো ও যানবাহন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালকের অভাব, অদক্ষ, লাইসেন্সবিহীন ও মাদকাশক্ত চালক, বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালনা, ওভারটেকিং, অতিরিক্ত লোড বহন, গতিসীমা না মানা, মহাসড়কে লোকাল গাড়ি চলা, ধীর গতির যানবাহন চলাচল, সড়কে প্রদত্ত সংকেত অনুসরণ না করা, যানবাহন যথাযথভাবে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির আওতায় না আনা, আইন যুগোপযোগী না করা, আইন প্রয়োগে শিথীলতা, ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে ব্যর্থতা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ( মালিক, চালক, বিআরটিএ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর), সর্বস্তরে সচেতনতার অভাব,সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহুপক্ষীয় উদ্যোগ দরকার। সঠিক নেতৃত্ব সড়কে মৃত্যু শূন্যে আনতে পারবে।সম্প্রতিবিষয় গুলোকে গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে কাম্য।