মোঃ মোল্লা শাওন।।উদ্বোধনের দুই পরও শুরু হয়নি ঝালকাঠি পৌরসভার সাতটি খালের খনন কাজ। ২৮ আগস্ট খনন কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম। এ নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৯ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজমীর বিল্ডার্স কার্যাদেশ পেয়ে খালের পাশের অবৈধ উচ্ছেদ ও খাল পরিমাপের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর সার্ভেয়ারের জন্য আবেদন করেন।সার্ভেয়ারদের পরিমাপ করে খাল বুঝিয়ে দেবার নির্দেশনা দিলেও অন্য কাজের কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। পরে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খালেও পানি জমে রয়েছে। একারণে পরিমাপ করে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। যদিও ২০ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়।খালগুলো হলো থানা রোড থেকে সুগন্ধা নদী (টিন পট্টি), কোর্ট রোড থেকে সুগন্ধা নদী, রূপনগর থেকে সুগন্ধা নদী হয়ে চাঁদকাঠি জেলেপাড়া, ফকির বাড়ির কালভার্ট হতে টাউন মসজিদ, উপজেলা পরিষদ থেকে টাউন মসজিদ, ঝালকাঠি ঈদগাহ থেকে সুগন্ধা নদী ও গুরুধাম নদী থেকে মৎস্য খামারের পিছন পর্যন্ত।পৌরসভার বাসিন্দা মো. সেলিম হাওলাদার বলেন, খনন কাজ না করায় খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাটে পানি জমে থাকে। ময়লা-আবর্জনায় খাল ভরে গিয়ে মশার প্রজনন ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে খান খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবে পৌরসভা।হেমায়েত হোসেন বলেন, ৫০ দিন হয়েছে খাল খনন কাজ উদ্বোধনের। এখন পর্যন্ত কোনো খাল খনন কাজ করতে দেখিনি। বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাটে পানি জমে থাকে। ময়লা-আবর্জনায় খাল ভরে মশার সৃষ্টি হচ্ছে।ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আজমীর বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, পৌরসভার সাতটি খাল খনন কাজের কার্যাদেশ পেয়েছি। কিছুদিন ধরে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সারাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এতে পানি বেশি থাকায় খাল খনন শুরু হয়নি।ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমাদ্দার জানান, সাতটি খালের খনন কাজ আমরা শুরু করেছি। এর জন্য ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। বৃষ্টি ও খালে পানি থাকায় খনন কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।ঝালকাঠি পৌরসভার প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন বলেন, পানি কমলে খনন কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে আমাদের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।