আব্দুল মজিদ নওগাঁ।
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা ১২ নং কাঁশোপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের লাগাতার অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় মুখ খুলেছেন ওই ইউনিয়নের সেবা প্রত্যাশীরা। সেবা নিতে আসা একাধিক ভুক্তভোগীরা দৈনিক যায়যায় বেলার প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ।ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম, কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মোখলেসুর রহমান, মহিলা ইউপি সদস্য মোসাম্মৎ ফরিদা পারভীন, সহ ত্রিমুখী চক্রের রোষানলে পিষ্ট হয়ে জ্ঞানহারা ইউনিয়নের সেবা প্রত্যাশীরা ।টাকা না দিলে কেহই পাচ্ছে না কেন ইউনিয়ন পরিষদের সেবা। এমন তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন খাদে ঘুষ বাণিজ্যের চাঞ্চল্যকর তথ্য গর্ভবতী মায়েদের মাতৃকালীন ভাতা, পঙ্গুত্ব ভাতা, বিজিএফ কার্ড, কর্মবান্ধব কার্ডসহ সকল সরকারি সেবা পেতে হলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,ও মহিলা ইউপি সদস্যকে দিতে হয় সাত থেকে আট হাজার টাকা। টাকা দিতে না পারলে পাচ্ছেন না কোন ইউনিয়ন পরিষদের সেবা। শুকটিবাদাল গ্রামের সেবা প্রত্যাশী মোঃ হেলাল পরামানিক ও মহিলা ইউপি সদস্য ফরিদা পারভিনের ঘুষ বাণিজ্যের কল রেকর্ড এসেছে দৈনিক যায়যায় বেলার হাতে।এমনকি মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী তিনি ও ইউপি সদস্য হয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনায় সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতির নিচে বিভিন্ন খাদে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মোকলেছুর রহমান টাকা না পেলে দিচ্ছে না কোন ডিজিটাল সেবা। ঘুষ বাণিজ্যের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ইউনিয়নবাসী প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন ১২ নং কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরে জনগণ। অভিযোগের বিষয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালামকে মুঠোফোনে ফোন করিলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে তিনি দৈনিক যায়যায় বেলাকে জানিয়েছেন লিখিত অভিযোগ পেলে উল্লেখিত বিষয় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে সংবাদ কর্মীকে আশ্বস্ত করেছেন