কামরুজ্জামান কানু জামালপুর।
জামালপুরের মেলান্দহে একাধারে ১৭ বছর সরকারে থাকায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতা নাম ও পদবীকে পুজী ও ব্যবহার করে মন্ত্রী, এমপি, জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। বাদ যায়নি জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও। জামালপুর জেলা ও উপজেলাতেও বেশ কয়েকজন নেতার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তবে, কারও পরিবর্তন স্বাভাবিক হলেও কারওটা অস্বাভাবিক মাত্রায়। রাতারাতি বড়লোক হওয়া সেইসব নেতাদের অর্জিত সম্পদের পরিমাণ, উৎস্ব ও বৈধতা নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে জেলার উপজেলার জনমনে। এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে সংবাদকর্মীকে হাত পাও কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছে জিন্নাবাহিনী।জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যার কিনা লেখাপড়ার য্যগ্যতাও নেই সেই মো: জিন্নাহ (ওরফে গম জিন্নাহ)। সে ছিলো জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর -৩ আসন ( মেলান্দহ -মাদারগঞ্জ) ৭-৭ বারের এমপি মির্জা আজমের ডানহাত ও আস্তা ভাজন, উপজেলা পর্যায়ে স্বর্বময় ক্ষমতার দাপট ও অধিকারী। তারই – ইশারায় মেলান্দহে বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খেত। তার অনুমতি ব্যতিরেকে ২-পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নের কোন দলের নেতারা মাথা চারাদিয়ে কথাবলতে পারতনা। ওদের ৪-ভাইয়ের দাপটে। মরহুম কাইউম মন্ডলের ৭-ছেলে। এবং ইউনিয়নের কোনো নেতাকর্মী কেউ হাঁচী দিতে পারত না। দলীয় পদ পদবী থেকে, মনোয়ন,মোটা অংকের টাকা ছাড়া পদ পদবী পেতনা, টিসিবি ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগ,স্কুল কলেজের কমিটি, শালিশ দরবার, সরকারি নিয়োগ, সরকারি বরাদ্দ ও বিতরণে তার ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। কাইউম মন্ডলের নামে একটি মাদ্রাসা ও রয়েছে, সে মাদ্রাসা কাগজ কলমে আছে কিন্তু শিক্ষক নেই ছাত্র ছাত্রী নেই সরকারী যা বরাদ্দ আসে তাও গম জিন্নাহ উঠিয়ে নেয়। ৩৪ বছরে তিনি এসব খাতে দলও দলের এমপি’র ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কামিয়েছেন কয়েকশ’ত কোটি টাকা। তিন তলা বাড়ি, চার চাকা গাড়ি, শত শত বিঘা জমিজমা জমা ও জিন্নাহ নামক মার্কেট যার বৈধতা নিয়ে আজও সকলের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে খোদ মেলান্দহবাসীর মাঝে? ওদের জ্বালায় অতিষ্ঠ মেলান্দহ বাসী। অপরদিকে জনতা ব্যাংক নামক বিল্ডিং টাওয়ার তার নিজ নামে। মেলান্দহ বাসী জানান, মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের দেওলাবাড়ি গ্রামের মরহুম কাইয়ূম মন্ডলের ২য় ছেলে মোঃ জিন্নাহ। মির্জা আজম এমপি হওয়ার আগে জিন্নাহর আর্থিক অবস্থা ছিল খুবই করুণ। নুন আনতে পান্তা ফুরায়, দিন আনতে পান্তা ফুড়ায়, দিন চলেনা এমতাবস্তায় বাবা কায়ুম মল্ডল দিনাজপুর যাওয়ার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে ছিল। ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরে ঘুরে তিনি গম জিন্নাহ চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছথেকে চটিবিছিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়ার টাকা দিয়ে গম কিনতেন। সেটাই ছিল তার পেশা। তার বাপ কাইয়ুম মন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের টেস্ট তুলতো গ্রামে গ্রামে ট্যাক্স তুলতেন, সেই থেকেই তার নাম হয়েছে গম জিন্নাহ। এই ব্যবসা মাধ্যমেই মির্জা আজমের সাথে তার সর্খ্যতা গড়ে উঠে এবং পরিচয় ঘটে। কারণ মির্জা আজমও এমপি হওয়ার আগে একই ধরণের ব্যবসা করতেন। মির্জা আজমের সম্পৃক্ততায় গম জিন্নাহ মির্জা আজমের হাত ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯১ সালে। আজম এমপি হওয়ার পর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জিন্নাহ ও তার আত্মীয়-স্বজনের কারণে জেলা উপজেলা বাসি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে বারবার অভিযোগ করলেও জেলা উপজেলার অসহায় মানুষ পাচ্ছেন না কোন আইনি সহযোগিতা।