• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

আজ চট্টগ্রাম বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ, ৮ দফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না সনাতনীরা।

দেবাশীষ দাশ ( রাজা ) চট্টগ্রাম বুরো প্রধান ( ক্রাইম ).
Update Time : শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪

দেবাশীষ দাশ ( রাজা ) চট্টগ্রাম বুরো প্রধানll

ঐতিহাসিক লালদিঘির মাঠে ৮ দফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না সনাতনীরা।৫ আগস্ট ছাএ জনতার গণঅভ্যুখান পরবর্তী দেশব্যাপী মন্দির, হিন্দু বাড়ি ঘড় হামলা, শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ এবং ৮ দফা দাবি পুরোপুরি বাস্ববায়নের লক্ষো সারাদেশে বিভাগীয় গণ সমাবেশের অংশ হিসাবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শুএবার ( ২৫ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও শহরের ওর্য়াডগুলো, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলা থেকে সনাতনীরা মিছিল নিয়ে অংশগ্রহন করেন।সনাতনীরা একদফা একদাবি ৮ দফা মানতে হবে,প্রশাসন নীরব কেন? জবাব চাই দিতে হবে, আমার মায়ের কান্না বৃথা যেতে দিব না, আমার দেশ সবার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ, আমার মাটি আমার মা, এই দেশ আমরা ছাড়বো না, রক্তে আগুন লেগেছে, আমার ঘরে আগুন কেন, জবাব চাই দিতে হবে, আমার মন্দিরে হামলা কেন জবাব চাই দিতে হবে, হিন্দুদের উপর হামলা কেন ? জবাব চাই দিতে হবে, অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সনাতন জাহরন মঞ্চের মুখপাএ ও পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রক্ষচারী।বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর সনাতনীরা শুধু অবহেলিত ছিলো। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু সনাতনীদের ভাগ্য বদলায় না। গত ৫৩ বছরে এদেশে হওয়া হিন্দু নির্যাতন, খুনের কোন বিচার হয়নি।৫ আগস্ট পরবর্তী সারাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে, বাড়িঘর হামলা লুটপাট করা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারের মতো একে ওকে দোষ চাপিয়ে সবাই বাঁচতে চাইছে।কারা দোষী ? কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ? তাদের আইনের আওতায় আনা হলেতো বেরিয়ে আসবে কারা সাম্প্রদায়িক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ? কেন সরকার সাম্প্রদায়িক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করছে না। ৮ দফা দাবি গুলো হলো,,,,,(১) সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুত তম সময়ে উপযুক্ত শান্তি প্রধান, ক্ষতিগ্রস্হদের ক্ষতিপূরণ প্রধান ও পূনর্বাসনের ব্যবস্হা করতে হবে।(২) অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে।(৩) সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।(৪) হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নতী করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ব ও খ্রিষ্ঠানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।(৫) দেবোত্তর সম্পন্তি পুনরুদ্বার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।(৬) প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা রুম বরাদ্দ করতে হবে।(৭) সংস্কৃতও পালি শিক্ষা বোর্ড, আধুনিকায়ন করতে হবে।(৮) শারদীয় দূর্গাপুজার ৫ দিন ছুটি দিতে হবে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ