অভিশেখ চন্দ্র রায়, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
রকারী কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার বিনিময়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ২ জন কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা (বিএস) এর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক।অভিযোগকারী কৃষকগণ বলেন, ভানোর ইউনিয়নের উপসহকারী কর্মকর্তা (বিএস) দুলাল হোসেন ও ইউনুস আলীর কাছে সরকারী কৃষি প্রণোদনার জন্য ভোটার আইডি ও ছবি জমা দিতে গেলে দুলাল ও ইউনুস আমাদের বলে যে ২-৩ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে। এত টাকার প্রণোদনা তো আর ফ্রিতে দিব না। প্রণোদনা নিলে পাঁচশত টাকা দিতে হবে নইতো যারা টাকা দিবে তাঁদেরকেই দিব। টাকা না দিলে ভোটার আইডি জমা নেওয়া হবেনা। তাই আমরা বাধ্য হয়ে টাকা দেই।পরে জানতে পারি যে এগুলো ফ্রীতে দিচ্ছে সরকার। আমরা টাকা ফেরত চাইতে গেলে সে টাকা দিবেনা বলে। তাই আমরা দুলাল ও ইউনুস এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে ২ শতাধিক কৃষক অভিযোগ দিতে এসেছি এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্তা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর গ্রামের কৃষক আঃ মতিন বলেন, আমি কৃষি প্রণোদনা নেওয়ার জন্য কয়েকবার ঘুরেছি কিন্তু পাইনি।টাকা চাইতো আমার কাছে আমি টাকা দিতাম না তাই আমাক দেইনি। তাই এবার বাধ্য হয়ে বিএস ইউনুস কে টাকা দিয়েছি। টাকা দেওয়ার পরে জানতে পেরেছি যে এটা সম্পুর্ন ফ্রীতে দেওয়া হয়। তাই আজকে আমরা কৃষকগণ লিখিত অভিযোগ দিলাম। যদি বিচার না করে তবে আমরা তাঁদের অফিস ঘেরাও করবো।ভানোর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি প্রণোদনা চাইতে গেলে আমার কাছেও টাকা চাই। টাকা না দিলে ভোটার আইডি জমা নিবেনা তাই আমি দুলাল কে ৫০০ টাকা দেই তারপর সে আমার ভোটার আইডি ও ছবি জমা নিয়েছে। তবে পরে আমরা জানতে পারি এটা ফ্রী দিচ্ছে। তাই আমরা প্রায় ২০০ কৃষক আজকে ইউএনও ও কৃষি অফিসারকে লিখিত অভিযোগ জমা দিলাম। তাঁদের আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি। কৃষক রাসেল বলেন, বিএস দুলাল ও ইউনুস কয়েক বছর ধরে টাকার বিনিময়ে কৃষি প্রণোদনা দিচ্ছে। আমরা তাঁদের কাছে কৃষকগণ পরামর্শ নিতে আসলে তাঁরা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। যারা টাকা দিচ্ছে এবং তাঁদের সাথে যোগাযোগ আছে শুধু তাঁদেরকেই তাঁরা সরকারি কৃষি প্রণোদনা বার বার দিচ্ছে। আমরা কৃষকগণ তাঁদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। তাই আমরা সকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা গুলজার বলেন, কৃষি কর্মকর্তা স্যার বাইরে আছেন। উনি আমাক অভিযোগটি নিতে বলেছেন। স্যার কৃষকদের সাথে বসে সব কথা শুনে তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ দেবনাথ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।