মোহাম্মদ লাল মিয়া (জাহিদ), নীলফামারী প্রতিনিধি।। নীলফামারীতে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামন নূরের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নীলফামারী সদর আমলী আদালত-১ এ ওই মামলা দায়ের হয়।আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।শেখ হাসিনার পতনের পর এনিয়ে নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের হলো। ওই চার মামলার মধ্যে দুটি হত্যা মামলা।মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের মৃত সিদ্দিক আলীর ছেলে মো. লিটন রহমান। মামলায় ২০২জনকে নামীয় আসামী করা হয়।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সহ-সভাপতি হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসফিকুল ইসলাম রিণ্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ।মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জানান, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কাচারী বাজারে অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এর দুইদিন পর ১৪ ডিসেম্বর উল্লেখিত আসামীরা আবারও ওই বাজারে গিয়ে সরকার বিরোধীদের ধারালো অস্ত্রের হুমকি প্রদান করে। সেখান থেকে শহরের ফেরার পথে রামগঞ্জ বাজারের কাছে বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এরপর রামগঞ্জ বাজারে পৌঁছে সে সময়ের বিরোধী অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা (আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী)।এ সময় মামলার বাদী লিটন রহমানের বাবা সিদ্দিক আলী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে বাঁচাতে ছুটে আসলে আসাদুজ্জামান নূর দ্রুত তাঁর গাড়ি দিয়ে সিদ্দিক আলীকে চাপা দিয়ে হত্যা করেন।নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম.আর সাঈদ জানান, এর আগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে সদর থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়ে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার দায়ের করা মামলার কাগজ এখনো থানায় পৌঁছেনি।