বিপ্লবী ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে শতশত প্রাণের বিনিময়ে সাম্য, ন্যায় বিচার, মানবিক মর্যাদা ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যাশা পূরণে বাউফল উপজেলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা এবং আগামীতে সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সেক্টরে প্রয়োজনীয় সংস্কারের আহবান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা।
তারা বলেছেন,আমরা সংস্কার চাই, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই্বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বাউফল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই দাবিগুলো সমর্থন জানিয়ে রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পড়ে শোনায়।
বিজ্ঞপ্তিতে তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- বাজার মনিটরিং বাড়ানো, পুলিশি কার্যক্রম বাড়ানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা, শিল্পকলা ও ক্রীড়া পরিষদের দলীয় করণ কমিটি বাতিল করে শিল্প ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট নাগরিক প্রতিনিধির সম্মেলনে কমিটি করা, সরকারি বাৎসরিক বাজের জনগণের সামনে উন্মুক্ত প্রকাশ করা ইত্যাদি। দাবিগুলো দ্রæত বাস্তবায়ণের জন্য আহবান জানানো হয়।
এছাড়াও ফেরিঘাট-লঞ্চঘাটে চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত ভাড়া তোলা বন্ধ করে ভাড়ার তালিকা সাদৃশ্য রাখা, বাজারে মূল্য তালিকা সাদৃশ্য রাখা, শিক্ষার্থী বেল্লাল নিহতের ঘটনার তদন্ত, পাবলিক পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দুর্নীতির তদন্ত করা, মাদকের আখড়া বন্ধ করাসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক দাবি পূরণের বিষয় বারবার আশ্বাস দিয়েও কোনো ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ না করার অভিযোগ তুলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা প্রশাসন প্রধানের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার সমালোচনা করে বাউফলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
চাঁদাবাজি, দখল, লুটপাট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কাজে জড়িত রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতারও সমালোচনা করে- তাদের ও প্রশাসনের প্রতি নিন্দাও জানানো হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে সংস্কারের নানা বিষয় আলোচনা করেন বাউফের আন্দোলনের সংগঠক রুমেন শিকদার , আয়সাতুন্নেসা, সামিয়া, রুহুল আমিনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণ করেন এবং গণহত্যায় জড়িতদের দ্রæত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে আহবান জানান।